বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টানা ৪১ দিন বন্ধ অফিস আদালতসহ কল-কারখানা। গত সপ্তাহে কিছু পোশাক কারখানা চালু করা হলেও বাকি সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু করতে চায় সরকার।
গত ৩০ এপ্রিল এ সভার নোটিশ জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), এফবিসিসিআই সভাপতি, বিজিএমইএ সভাপতি, ডিসিসিআই সভাপতি, বিকেএমইএ সভাপতি, বিটিএমইএ সভাপতি, এমসিসিআই সভাপতি এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছেও সভার নোটিশ বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (৩ মে) উচ্চপর্যায়ের আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। ওইদিন বেলা ১২টায় সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে সভাপতিত্ব করবেন।
সভার নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু রাখা বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে কয়েক দফা বাড়িয়েছে ছুটি আগামী ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করলে এসংক্রামন দুর করা সম্ভব মনে করেই দেশে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার এ উদ্যেগ কতটা সফল হবে তা নিয়েও রযেছে নানা প্রশ্ন।