1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৭:২০ অপরাহ্ন

অসুস্থতায় ধৈর্যের বিনিময়ে জান্নাত

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে

মুফতি তাজুল ইসলাম: আল্লাহর সঙ্গে জান্নাতপ্রেমীদের অনেক কথা ও গোপনালাপ আছে। তাঁদের বিপদ যতই কঠিন হোক, তাঁরা ধৈর্য ধারণ ও সওয়াবের প্রত্যাশা করতে থাকে। আল্লাহ তাআলা অনেক বড় প্রতিদানদাতা। তিনি কারো আমল বিফল করেন না। ক্লান্তি-ক্লেশ বা সামান্য কাঁটায় বিদ্ধ হলেও আল্লাহ তাআলা মুমিনকে এর প্রতিদান দেন।

সহিহ বুখারিতে আতা বিন আবি রাবাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা তিনি আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.)-এর সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন। এমন সময় পাশ দিয়ে একজন কালো বৃদ্ধা দাসি হেঁটে যায়। ইবনে আব্বাস (রা.) আতা (রা.)-কে বলেন, আমি তোমাকে কোনো জান্নাতবাসী মানুষ দেখাব? আতা (রা.) বিস্মিত হন। অতঃপর তিনি বলেন, এক নারী জান্নাতবাসী। আশ্চর্যের বিষয় হলো, তিনি সে সময় সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যান। তিনি আরো বলেন, সত্যিই, তিনি মারা গেলে জান্নাতে যাবেন। আতা (রা.) আরো বিস্মিত হন। বলেন, আমাকে সেই নারী দেখান, যিনি এখনো আমাদের মাঝে আছেন, আমাদের সঙ্গে আহার করেন। আমাদের সঙ্গে বাজারেও যান। তখন ইবনে আব্বাস (রা.) কালো নারীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ওই কালো দাসী জান্নাতবাসীদের একজন। আতা (রা.) বলেন, আপনি কী করে তা জানেন? ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, এই নারী কয়েক বছর আগে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে আসে। সে মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিল। মূলত জিন তাকে এভাবে ধরাশায়ী করত। ফলে সে লোকসম্মুখেও উপুড় হয়ে পড়ে যেত। এ থেকে মুক্তিলাভের আশায় সে রাসুল (সা.)-এর কাছে আসে। কারণ সে জীবনের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাকে কেউ বিবাহ করে না। কেউ তার সঙ্গে বসে না। মানুষ তাকে দেখলে ভয় পায়। শিশুরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা করে। ঘরে, বাজারে বা যেকোনো জায়গায় সে মৃগীতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে করুণ স্বরে বলে, আমি মৃগীরোগে আক্রান্ত। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যেন তিনি আমাকে এ থেকে মুক্তি দেন।

রাসুল (সা.) সাহাবিদের ধৈর্য শেখাতে চাইলেন। তিনি বলেন, ‘তুমি চাইলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব। তিনি তোমাকে আরোগ্য করবেন। আর চাইলে, তুমি ধৈর্য ধারণ করো। তোমার জন্য জান্নাত বরাদ্দ থাকবে।’

এই অসুস্থ নারী আবার রাসুল (সা.)-এর দিকে তাকাল। আর বলল, আপনি কী বললেন? রাসুল (সা.) আবার সে কথা বলেন। এবার সে নিজের কথা চিন্তা করতে থাকে। অসুস্থতার কথা ভাবে। মনে মনে আল্লাহর রাসুলের কথা বারবার স্মরণ করে। আল্লাহর রাসুল তাঁকে দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ভোগবিলাস ও আখিরাতের চিরস্থায়ী নিবাসের মাঝে কোনো একটা নির্বাচনের অধিকার দেন। তখন এই অসুস্থ নারী বলে ওঠে, হে আল্লাহর রাসুল, বরং আমি ধৈর্য ধারণ করব। ধৈর্য ধারণ করব। সে ধৈর্য ধারণ করে। এভাবে সে মারা যায়। তাঁর দেহ-মন যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে জান্নাত লাভের আশায়।

আল্লাহু আকবার! তাঁদের ক্লান্তি-শ্রান্তি সব দূর হয়। তাঁদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়। কিয়ামতের দিন সফল হওয়ার আশায় তাঁরা দুনিয়া ত্যাগ করেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, ‘নিশ্চয়ই মুত্তাকিদের জন্য আছে মহাসফলতা, বিশাল বাগান ও অনেক আঙুর ফল, সমবয়সী পূর্ণযৌবনা তরুণী, মদভর্তি পানপাত্র। সেখানে তাঁরা কোনো বাজে ও মিথ্যা কথা শুনতে পাবে না। এ সবকিছু তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে যথাযথ পুরস্কারস্বরূপ দেওয়া হবে।’ (সুরা আন নাবা, আয়াত : ৩১-৩৬)

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর