1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২৫ অপরাহ্ন

আইনজীবীর স্ত্রী ভাগিয়ে নিয়েছেন উপ-সচিব

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

কতিপয় আমলাদের বিরুদ্ধে শুধু ঘুষের অভিযোগই নয় পরের স্ত্রী কিভাবে ভাগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়েও আছে উচ্চর প্রেমবিদ্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে কুমিল্লার এক আইনজীবীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের বিরুদ্ধে। নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকার পরও অন্যের স্ত্রীকে নানা প্রলোভনে ঘর ছাড়া করেন তিনি।

অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে সরকারি ওই কর্মকর্তার অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ভেঙে গেছে ভুক্তভোগী আইনজীবীর দেড়যুগের সাজানো সংসার। মাতৃস্নেহে বঞ্চিত হলো এই  দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া একমাত্র সন্তান। এই উপসচিবের নাম কাইজার মোহাম্ম ফারাবি। তিনি কুমিল্লা জেলার এডিসি থাকাকালীন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির এক সদস্যের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে এই কর্মকর্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব পদে কর্মরত আছেন।
২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তার খপ্পর থেকে স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য আইনজীবী স্বামী গত ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বরাবর লিখিত আবেদন জানান। কিন্তু তাতে কোনো সুফল পাননি তিনি। স্ত্রী এখন কোথায় আছেন, কি করছেন,কাইজার মোহাম্মদ ফারাবিকে বিয়ে করে সংসার করছেন নাকি অনৈতিকতার মধ্যেই আছেন তা তিনি জানেন না। নিজের সন্তানের মায়ের কোনো অনৈতিক কর্মকান্ড জানাজানি হলে সন্তান ভবিষ্যতে সমাজে হেয় হবেন এই ভেবে নিরবেই অপেক্ষায় করছেন আইনজীবী। স্বামী চান না নিজের সন্তানের মা সমাজে বিতর্কিত হোক। জানা যায়, আইনজীবী স্বামী মো: সালাহ উদ্দিন মাহমুদ এর সঙ্গে ভালোভাবেই সংসার করছিলেন স্ত্রী সুফিয়া ভূইয়া মুক্তা। অত্যন্ত সুন্দরভাবেই কেটে যায় তাদের সংসার জীবনের ীর্ঘ ১৮টি বছর। এ সময়ে এই দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। যে সন্তানটি এখন পবিত্র কোরআনুল কারিমের হাফেজ। এই সুখের সংসারে ঝড় নেমে আসে ফেসবুক এর মাধ্যমে কুমিল্লার এডিসি কাইজার মোহাম্ম ফরাবির সঙ্গে পরিচয়ের কারণে। পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্ক। এর পর ক্রমেই ঘনিষ্ঠতায় পরিণত হন তারা। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সরকারি এই কর্মকর্তা সুফিয়া ভূইয়া মুক্তকে নানা প্রলোভন দিতে থাকেন। মেসেঞ্জারে কথোপোকথনের এক পর্যায়ে সুফিয়া ভূইয়া মুক্তাকে উচ্চবিলাসী নানা স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি। ফারাবি ও মুক্তার মধ্যে কথোপোকথনের তথ্য ঘেঁটে আইনজীবী স্বামী জানতে পারেন, ফারাবি তার স্ত্রী মুক্তাকে বলেন তিনি (ফারাবি) কিছু দিনের মধ্যেই ডিসি হয়ে যাবেন, আর তাকে বিয়ে করলে সুফিয়া ভূইয়া মুক্তা হবেন ডিসির স্ত্রী। এ ধরণের নানা লোভনীয় অফার দেওয়া ও আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি ওই কর্মকর্তা মুক্তার সঙ্গে অনৈতিক মেলামেলাও শুরু করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সরকারের প্রভাবশালী কর্মকর্তা হওয়ার কারণে তার আশকারায় আইনজীবী স্বামীকে নানা ধরণের হুমকিও দিতে থাকেন মুক্তা। একপর্যায়ে আইনজীবী স্বামীর সংসার ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের সংসার রক্ষায় স্ত্রীকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করা হলেও তাতে কাজ হয়নি। ওই কর্মকর্তা এমন ভাবেই মন ভুলিয়েছেন যে, মুক্তা তার ১৮ বছরের সংসারের প্রতি আর কোনো আগ্রহই দেখাচ্ছিলেন না। এমন কি নিজের গর্ভের সন্তাানের প্রতিও আগ্রহ হারায় সুফিয়া ভূইয়া মুক্তার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্ত্রীকে কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি’র কবল থেকে ঘরে ফেরাতে লিখিতভাবে আবেদন জানান ভুক্তভোগী ওই স্বামী। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি চান সুফিয়া ভূইয়া মুক্তা ঘরে ফিরে আসুক। মুক্তার স্বামী মো: সালাহ উদ্দিন মাহমুদ কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তাদের বাসা কুমিল্লা সদর হাসপাতাল রোড মনোহরপুরে।“শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত উপসচিব জনাব কাইজার এম ফারাবির পরকীয়া কার্যক্রমের মাধ্যমে সংসারে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিভে সৃষ্টির কারণে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন” শিরোনামে অভিযোগটি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ববরাবর প্রেরণ করেন।

একই অভিযোগ তিনি শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী,জনপ্রশাসন সচিব এবং শিক্ষাসচিব বরাবরও প্রেরণ করেন বলে জানা যায়। অভিযোগে তিনি জানান, সুফিয়া ভুইয়া মুক্তার ফেইসবুক আইডি ছিলো আরেকটা্। উপ-সচিব কাইজার মোহাম্মদ ফারাবির (তখন কুমিল্লার এডিসি) সঙ্গে সম্পর্কের পর ফেসবুক আইডি পরিবর্তন করেন অন্য নামে।

উল্লেখ্য, কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি এবং তাদের ব্যাচ সবেমাত্র উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এই ব্যাচ ডিসি হতে এখনো অনেক সময় বাকি। কয়েক বছর লেগে যাবে নিঃসন্দেহেই। অথচ কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে মুক্তাকে এই মর্মে প্রলোভন দেখান যে, তিনি শিগগিরই ডিসি হচ্ছেন। এমনকি কুমিল্লার ডিসি হয়ে আসবেন,এটাও নিশ্চিত। আর সেই স্বপ্নেই মুক্তা উপসচিব ফারাবির প্রতি অন্ধের মতো ঝুঁকে পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর