রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের নিচতলায় অস্থায়ী করোনা ইউনিটে এই ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে এবার রহস্য তৈরি হচ্ছে। ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে অগ্নিকাণ্ডের সময় নিয়েও।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মূল ভবনের বাইরে পাঁচ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছিল। সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অক্সিজেনসহ বেশকিছু দাহ্য পদার্থ ছিল। এ কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাত ৯টা ৪৮মিনিটে এক রোগীর স্বজন জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ কল করে অগ্নিকাণ্ডের খবর দেন। এরপর পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে এসি বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হলেও এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা বলছেন, রাত সাড়ে নয়টার আগেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অনেকক্ষণ দূর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন ইউনাইটেড হাসপাতালের নিজস্ব কর্মীরা।
ইউনাইটেড হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য ইউনিট চালু করার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নেয়নি। এরপরও কিভাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিল বিষয়টি জানতে চাইলে নিহত মাহবুব এলাহী চৌধুরী ছেলে আনোয়ার চৌধুরী ও খাদিজা বেগমের ছেলে আলমগীর বলেন, করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের বাইরের ইউনিটিতে রাখত ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। এখানে রেখে পরীক্ষা করা হতো। সেখানে তিনজনের পজিটিভ আসার পরও রেখে চিকিৎসা চলছিল। তবে করোনার ইউনিট এবং অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে মধ্যরাত পর্যন্ত ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ও ফায়ার সার্ভিসের খবর খবর জানানোর সময়; অগ্নিকাণ্ডের উৎস এবং করোনা ইউনিট নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশার বিষয়ে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। রাত ১২টার দিকে র্যাবের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। এদিকে নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।