1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

একাংশের কাউন্সিল আহ্বান, ড. কামাল বললেন তারা কে?

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

শান্ত রাজনীতির মাঠে হঠাৎ উত্তাপ গণফোরামে। দলটির একাংশের নেতারা তাৎক্ষণিক বর্ধিত সভা করে দলের কাউন্সিল আহ্বান করেছেন ডিসেম্বরে। তারা দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াসহ চার নেতাকে বহিষ্কারেরও ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ওই বর্ধিত সভায় কাউন্সিলে গঠিত কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াসহ অনেক নেতাই ছিলেন না। সভা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, কাউন্সিল ঘোষণার তারা কে? দলের বাইরে গিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ছাড়া অন্য কেউ বর্ধিত সভা ডাকার কোনো এখতিয়ার রাখে না উল্লেখ করে তিনি বলেন- এটা তাদের এখতিয়ারে পড়ে না। মানবজমিনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. কামাল বলেন, তারা যা ইচ্ছা করুক। কাউন্সিল করার তারা কে? তারা কি কি নাম দিয়েছে।

এগুলো তারা কোথা থেকে দিয়েছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। দল থেকে বেরিয়ে যাওয়াদের বিরুদ্ধে গণফোরামের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে রোববার বসে আলাপ করবো। তারপর জানতে পারবেন।

শনিবার গণফোরামের একাংশের নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবে বর্ধিত সভা করে ২৬শে ডিসেম্বর দলের কাউন্সিল আহ্বান করেছেন। সভা থেকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াসহ ৪ নেতাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। দলের বাইরে গিয়ে কারো বর্ধিত সভা করার এখতিয়ার নেই জানিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া মানবজমিনকে বলেন, বর্ধিত সভা তো দূরের কথা, নিয়ম অনুযায়ী দলের সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেউ মিটিংও ডাকতে পারেন না। স্যারের (ড. কামাল) মতের বিরুদ্ধে, সাধারণ সম্পাদকের অংশগ্রহণ ছাড়া এটা বুঝাই যায় তারা কী করতে চায়। এটা করে কোনো লাভ নাই। তারা নিজেরাই দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। তারা দলের সঙ্গে আর নেই। এ বিষয়ে আমরা ফরমাল অ্যাকশন নেবো। আর দলের ভেতরে গণ্ডগোল করার চেয়ে দলের বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো তারা কাজ করুক। তারা রাজনীতি করবে তাদের মতো। তাদের রাজনীতিতে যদি মানুষ আকৃষ্ট হয় তাহলে সেটা হবে। আমাদের গণফোরামের সঙ্গে ভবিষ্যতে এই লোকগুলোর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।

গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, বর্ধিত সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গণমুখী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬শে ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কাউন্সিলকে সফল করার লক্ষ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই সভার মধ্য দিয়ে গণফোরাম নামের আরেকটি দল গঠন করতে যাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ২৬শে ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে নতুন দলের বিষয়ে।

ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে তাদের কী সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে মন্টু বলেন, আমরা এখনো বিশ্বাস করি, ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আসবেন। বিতর্কিত লোকদের পরিহার করবেন। মাঠের পোড় খাওয়া লোকদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আর তিনি না আসলে তার বহিষ্কারের বিষয়ে আমাদের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেবো। সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবে। তাদের মতামত সাপেক্ষে তার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

গণফোরাম তো বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে আছে, আপনারা কি তাহলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন- জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আমরা এখন কোনো সিদ্ধান্ত নেবো না। সামনে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মিটিং আছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেবো।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ এবং জোটে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়াতের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিল না। আর আমি একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো বলেছিলাম কামাল হোসেনকে। কিন্তু তিনি যেহেতু দলের সভাপতি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নির্দেশে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কারণ আমি তার আদেশ অমান্য করতে পারি না সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। আর সেই নির্বাচন কীভাবে আগের রাতে হয়ে গেছে আপনারা সবাই জানেন। অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে গণফোরাম জাতীয় ঐক্য চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বর্ধিত সভায় গণফোরামের কত জেলার প্রতিনিধি ছিলেন জানতে চাইলে দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের সঙ্গে গণফোরামের ৫২ জেলার ২৮৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর