২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ পাতানো এবং স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পরের বছর বিপিএল এন্টি করাপশন ট্রাইব্যুনাল জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।সে বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি প্যানেল ওই সাজা কমিয়ে পাঁচ বছর করে।২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পান। কিন্তু তখনও জাতীয় দল এবং ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগের দরজা বন্ধ ছিল তার জন্য। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ফেরেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। তবে নিষিদ্ধ থাকাকালীন এতটা বাজে কেটেছে আশরাফুলের, এ জন্য আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি!
বৃহষ্পতিবার (১৪ মে)এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় এমন কথা নিজেই জানান আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘এমনও আমার মাথার মধ্যে এসেছিল যে আমি বেঁচে থাকবো কিনা, সুইসাইড করব কিনা। এই ধরনের চিন্তাও আমার মধ্যে এসেছে। সময় যাচ্ছে। সময়ই তোমাকে সব চেঞ্জ করে দেবে। আমি কীভাবে মানুষের কাছে মুখ দেখাব, পরিবার কীভাবে থাকবে। আমি এটা নিয়ে খুব আপসেট ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি ২০১৩ সালে হজ করতে গেলাম। এরপর আমার দুলাভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করলাম। উনি কিছু পজিটিভ কথা বলেছিলেন। ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সুজন ভাই (বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন), উনারা আমাকে প্রচুর সাপোর্ট করেছেন। বলতেন, তোমার এখন বাজে সময় যাচ্ছে। সময়ই তোমাকে সব চেঞ্জ করে দেবে।’
করোনার চেয়ে ঐ সময় কঠিন ছিল জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘কাল আমাকে একজন বলছিলেন, করোনার কারণে আমরা এখন সবাই ঘরবন্দী। আপনার কাছে কেমন লাগছে? আমি বললাম, আমার কাছে ততটা কঠিন মনে হচ্ছে না। কারণ, আমি এর থেকেও কঠিন সময় কাটিয়েছি আমার ওই নিষেধাজ্ঞার সময়ে।’
নিজের ফিক্সিংয়ের কথা বলে গিয়ে আশরাফুল জানান, ‘আমি কিন্তু কোনো ম্যাচ ফিক্সিং করিনি। হ্যাঁ আমি বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এগুলো আমি অন্যায় করেছি এবং সবার কাছে বলেছি। ভুল মানুষের হতেই পারে। অনেকে হয়তো ক্ষমা করেছে, অনেকে হয়তো ক্ষমা করেনি।’
বাংলাদেশের হয়ে ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচ ও ৬১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।বর্তমানে তিনি ‘অ্যাশ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। মূলত এটা আশরাফুলদের পারিবারিক ব্যবসা।