1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে: প্রধানমন্ত্রী শুভ জন্মদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, আছেন মাহমুদউল্লাহ,নেই তামিম মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার নেই গণমাধ্যম: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে: ইসি আনিছুর আমি কোনোদিন আমেরিকা যাইনি, যাবও না : বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন দেশের ২৮ কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

এগারো বছরেও কি পার হয় না ৪৮ ঘণ্টা

কালবেলা
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

‘কী আর বলব, বলে তো কোনো লাভ নেই। ওপরে আল্লাহ আছে, তার কাছে বিচার দিলাম। বিচারের আশা কখনো ছাড়ব না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিচার চেয়ে যাব। এভাবে কত ৪৮ ঘণ্টা, কত ৪৮ বছর যাবে সেটি জানি না। দুনিয়ায় একমাত্র ছেলের মৃত্যুর কোনো কূলকিনারা জানতে পারলাম না। ৪৮ ঘণ্টা কি এগারো বছর হয় নাকি? ৪৮ ঘণ্টা মানে ৪৮ ঘণ্টা।’

পুত্র ও পুত্রবধূ হত্যাকাণ্ডের বিচার ১১ বছরেও না পেয়ে সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির আক্ষেপ করে কালবেলাকে এসব কথা বলেন।

সাগরের মা বলেন, ‘যারা কারাগারে আছে তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাদের দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। র‌্যাব অনেক কিছুই পারে; কিন্তু এ মামলার ক্ষেত্রে কেন গাফিলতি করছে জানি না। তারা যদি কোনো রহস্য উদ্ঘাটন না করতে পারে, তাহলে তদন্তের কাজ ছেড়ে দিক। পিবিআইকে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক। মানুষের আইওয়াশ করার জন্য তদন্ত নিয়ে নানা কথা বলা হয়। অথচ তদন্ত শেষ হয় না।’

দেশের আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনির হত্যার মূল রহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। অথচ ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের পরপরই কারণ অনুসন্ধান করে খুনিদের শাস্তি দিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন। যা দেখতে দেখতে আজ এ হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর হয়ে গেল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ৯৫ বার সময় পিছিয়েছেন আদালত।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই মো. নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছিল ডিবির পরিদর্শক রবিউল আলমের কাছে। ৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র‌্যাব। ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত সাগর-রুনি হত্যা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন তদন্ত সংস্থা র‌্যাবকে।

আদালতের আদেশের পর একই বছরের ৫ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম আদালতে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। আগামী ৫ মার্চ মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলায় আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানকে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিন পান তিনি। যে বাড়িটিতে সাগর-রুনি খুন হন সেই বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালও জামিনে বাইরে রয়েছেন।

মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, ‘এত কিছু থাকার পরও ১১ বছরে এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হলো না। এটি জাতির জন্য চরম লজ্জার। দেশে যে বিচার হয় না, এটি অন্যতম দৃষ্টান্ত।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘এ হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

তদন্ত নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘এটি একটি আলোচিত হত্যা মামলা। এ মামলার বিষয়ে সবাই জানতে চায়। তাই মামলাটি ঝুলিয়ে না রেখে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা উচিত। এতে তদন্তে কী এলো সেটা সবাই জানতে পারবে।’

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর