‘এসপিসি গ্রুপ’র সঙ্গে চুক্তি বাতিল, সবাইকে সাবধান করলেন মাশরাফি
প্রকাশিত: ০৬:১৫ এএম, জুন ২, ২০২১
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা গেল এপ্রিলে ‘এসপিসি গ্রুপ’ নামক এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। সে চুক্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ককে নিজেদের ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে পেয়েছিল গ্রুপটি। কিন্তু তাদের ব্যবসা সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল, এ অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানান সাবেক বাংলাদেশি এই পেসার।
চুক্তির বিনিময়ে তার এলাকা নড়াইলে ১০০টি সিসিটিভি স্থাপনসহ আরও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার কথা ছিল এসপিসি গ্রুপের, এ কারণেই অনেকটা অপরিচিত এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মাশরাফি। বিনিময়ে ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ বিভিন্ন সময় ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও ব্যবহারের অনুমতি পায় কোম্পানিটি।
তবে চুক্তির আগে সময়ে মাশরাফিকে তাদের ব্যবসার ধরন সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছিল । বিষয়টি বুঝতে পেরেই নিজেকে চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন তিনি, পাঠিয়েছেন উকিল নোটিশও। মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদেরকে এ বিষয়ে সতর্কও করেছেন তিনি।
মাশরাফি সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘গত এপ্রিলে আমি ‘এসপিসি গ্রুপ’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল, ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারে আমার ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও ব্যবহার করতে পারবে। বিনিময়ে তারা নড়াইলে ১০০টি উন্নতমানের সিসিটিভি স্থাপনসহ সামাজিক উন্নয়নের কাজ করবে। কিন্তু সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে ধারনা আমাকে দেওয়া হয়েছিল, তাদের ব্যবসার ধরন তা নয়।’
সেই ফেসবুক পোস্টে মাশরাফি আরও লেখেন, ‘দুই বছরের চুক্তি থাকলেও দুই মাসের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে জানার পরই আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি তাদেরকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি, আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি শেষ করার আইনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আমার নাম বা ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে না জড়াতে।’
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম পদ্ধতিতে ব্যবসা করা ‘এসপিসি গ্রুপ’ চুক্তির পর থেকেই মাশরাফিকে নিজেদের ‘ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’ দাবি করে চকটদার বিজ্ঞাপন প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধরন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও নেহায়েত কম হয়নি। সেটা ডালপালা ছড়ানোর আগেই মাশরাফির দৃষ্টিগোচর হয়, আর নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।