করোনা মহামারির কারণে পুরো বিশ্বই ভুগছে আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়ে। আর দেশে এই মহামারিকে মওকা হিসেবে নিয়ে রমরমা বাণিজ্যেরও সুযোগ নিয়েছেন কোনো কোনো খাতের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। বিশেষ করে করোনাভাইরাসজনিত চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ওষুধের ক্ষেত্রে এই সুযোগ নিয়েছেন দেশের কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিক্রেতারা। পাশাপাশি ওষুধের মান নিয়েও সংশয় বড় হয়ে উঠেছে। করোনাকালে ওষুধের দাম নিয়ে নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। যদিও ঔষধ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে নকল, ভেজাল, নিবন্ধনহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বা সুরক্ষাসামগ্রীর বাণিজ্য বন্ধে বেশ কিছু অভিযান চালিয়েছে।
কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বড় দাগে তিন ধাপে চলছে ওষুধের দামের ক্ষেত্রে নৈরাজ্য। এক কম্পানি থেকে আরেক কম্পানির একই জেনেরিকের একই ডোজের ওষুধের নির্ধারিত মূল্যেই রয়েছে বড় ব্যবধান। এমআরপির (খুচরা মূল্য) বাইরেও ফার্মেসিতে ক্রেতাদের কাছ থেকে ক্ষেত্রবিশেষে নেওয়া হয় আরো বেশি দাম। করোনাকালে যেসব ওষুধের চাহিদা বেশি, সেগুলো নিয়েই নৈরাজ্য বেশি হচ্ছে বলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা আইভারমেকটিন (৬ মিলিগ্রাম) জেনেরিকের প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ডেলটা ফার্মাসিটিউক্যালসের পাঁচ টাকা, আবার পপুলার, অ্যারিস্টোফার্মা, একমি, বিকনসহ আরো কিছু কম্পানির দাম ১৫ টাকা। এর মাঝে ভিন্ন ভিন্ন দামেও আছে বিভিন্ন কম্পানির ওই একই ওষুধ।
ডক্সিসাইক্লিন (১০০ মিলিগ্রাম) জেনেরিকের ডক্টরস কেমিক্যালের প্রতিটির দাম এক টাকা, আবার গ্লোব ফার্মাদেশসহ আরো কয়েকটি কম্পানির ওই ওষুধের প্রতিটির দাম আড়াই টাকা। এজিথ্রোমাইসিন (৫০০ মিলিগ্রাম) কোনো কম্পানির দাম প্রতিটি ৩০ টাকা, আবার কোনোটির প্রতিটি ৫৫ টাকা। মাঝে ৩৫-৪০-৪৫ টাকাও আছে কয়েকটি কম্পানির এই ওষুধের দাম। মন্টিলুকাস্ট (১০ মিলিগ্রাম) কোনো কম্পানির দাম ১০, আবার কোনোটির ১৫ টাকা, কোনো কম্পানির মাইডাজোলাম (ইনজেকশন) ৭৫ টাকা, আবার কোনোটির ১৫০ টাকা। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ফেভিপিরাভির ট্যাবলেটের (২০০ মিলিগ্রাম) পূর্বনির্ধারিত দাম ছিল বেশির ভাগ কম্পানির ৪০০ টাকা করে প্রতিটি। তবে রেডিয়েন্ট কম্পানির ওই একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ৮০০ টাকা। সরকার করোনাকালে এক দফা এর দাম সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। পরে কাঁচামালের দাম কমে গেলে সেটি ২০০ টাকা করে বিক্রির একটি নির্দেশনা দেয়। এর পরও এখনো বেশির ভাগ কম্পানিই দাম ৪০০ টাকা রেখেছে। আর রেডিয়েন্টের ওষুধের দাম এখনো ৮০০ টাকা দেখা যায় কোথাও কোথাও। অন্যদিকে রক্ত তরল করার ওষুধ রিভারক্সাবানের দাম রয়েছে ২২-২৫ টাকা। এমনকি প্যারাসিটামল (শিশুদের ড্রপ) ১২ থেকে ১৮ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. আইউব হোসেন বলেন, ‘এমআরপি বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আবার যে ওষুধের দাম বিশেষ নির্দেশনায় সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটাও কেউ বেশি নিলে তা ঠিক করছে না। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হয়তো কেউ কেউ দামের ক্ষেত্রে অসাধু তৎপরতা চালাতে পারে। এগুলো আমাদের নজরে এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
বাংলাদেশ ফার্মাকোলজি সোসাইটির চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়ে গেছে বিদ্যমান আইনের ভেতরে। ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশ এখনো কার্যকর থাকায় সেই মান্ধাতা ব্যবস্থায় চলছে সব কিছু। এর সুযোগ নেয় অসাধু কম্পানিগুলো। এই আইনের অবশ্যই পরিবর্তন দরকার, যেখানে দেশের মানুষের আর্থিক সংগতিপূর্ণ ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হবে। এ ছাড়া কম্পানিরগুলোর ক্ষেত্রেও কাঁচামালের দাম, আমদানি খরচ ও যৌক্তিক লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করেই দাম কাঠামো সাজাতে হবে।’
তিনি বলেন, এখন দেশে প্রায় এক হাজার ৩০০ জেনেরিকের ওষুধ রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে মাত্র ১১৭টির দাম সরকার নির্ধারণ করে দেয়। বাকি সব নির্ধারণ করে নিজ নিজ কম্পানি। তারা নিজেরা দাম ঠিক করে শুধু সরকারকে একটু দেখিয়ে নেয়। ওষুধের ডোজের সঞ্চালনসাম্যতার ওপর নজর দেওয়ার কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ।
আরেক ওষুধ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, কোনো কোনো বিশেষ কম্পানি সরকারের কাছ থেকেই অন্য যেকোনো কম্পানির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি দাম নির্ধারণ করিয়ে নেয়। সরকারের এ ক্ষেত্রে কঠোর হওয়া দরকার। কোনোভাবেই একটি ওষুধের দাম এক কম্পানির চেয়ে আরেক কম্পানির দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি হতে পারে না। কারণ ওষুধের মানগত পার্থক্য থাকা চলে না। ওষুধ সব একই মানের হতে হবে। শুধু আনুষঙ্গিক কিছু খরচের কারণে অল্প কিছু ব্যবধান হতে পারে।
রাজধানীর ইব্রাহীমপুরে নিউ লাইফ ফার্মা প্লাস থেকে জানা যায়, আইভারমেকটিন গ্রুপের ছয় মিলিগ্রাম প্রতি পিসের দাম ১৫ টাকা এবং ১২ মিলিগ্রামের দাম ৩০ টাকা। ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধের দাম দুই টাকা, অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের দাম ৩৫ টাকা, মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা, ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধের দাম ট্যাবলেট পাঁচ টাকা ও ক্যাপসুল সাত টাকা, ইনসুলিন ৪১৫ টাকা, ইনহেলার ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, মাইডাজোলাম ৭০৫ মিলিগ্রামের দাম ১০ টাকা। ফেভিপিরাভির গ্রুপের প্রতি পিসের দাম ২০০ টাকা, রিভারক্সবান গ্রুপের ১০ মিলিগ্রামের দাম ২৫ টাকা এবং প্যারাসিটামল গ্রুপের প্রতি পিস ওষুধের দাম ৮০ পয়সা। রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় নওশিন ফার্মেসিতে গিয়েও ওষুধগুলোর একই দাম পাওয়া যায়। তবে একই ইনসুলিনের দাম সেখানে ৩৮০ টাকা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ওষুধের দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি রাখা হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ওষুধের দামের তারতম্য সবচেয়ে বেশি। কিছু ওষুধের দাম গায়ে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে ওষুধ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বেশি নিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে আইভারমেকটিন ছয় এমজির স্কয়ারের ১০ টাকার ট্যাবলেট ২০ টাকা এবং ১২ এমজির ২০ টাকার ট্যাবলেট ৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শ্বাসকষ্টের ওষুধ ডক্সিসাইক্লিন ৫০ এমজি রেনাটার ১ দশমিক ৪৩ টাকার ক্যাপসুল বিক্রি করছে ২ দশমিক ৫০ টাকা এবং ১০০ এমজির জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুই টাকার ক্যাপসুল চার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এমজির বেক্সিমকোর ৩০ টাকার ট্যাবলেট ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফেভিপিরাভির ২০০ এমজির ট্যাবলেট বিকন, বেক্সিমকো, ড্রাগ, এস্কায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালসের দাম ২০০ টাকা, কিন্তু জিসকা ও একমি ফার্মাসিউটিক্যালসের এই ট্যাবলেটের দাম ৪০০ টাকা। একই ওষুধ অন্য কম্পানির ক্ষেত্রে দ্বিগুণ দামের তফাত গ্রাহকরা বুঝতে না পারায় ফেভিপিরাভির যেকোনো কম্পানির হলেই ৪০০ টাকা দাম রাখছেন দোকানিরা। রিভারোক্সবান ১০ এমজির স্কয়ারের ২৫ টাকার ট্যাবলেট বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা। প্যারাসিটামল এক পাতা যেটি আগে ছিল আট টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।
ঢাকার বাইরেও একই চিত্র। বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে ওষুধ মার্কেটে ইনসাফ ফার্মেসির মালিক মজিবর রহমান জানান, আইভারমেকটিন প্রতি পিস ১ ৫টাকা, ডক্সিসাইক্লিন প্রতি পাতা ২২ টাকা, এজিথ্রোমাইসিন প্রতি পিস ৩৫ টাকা, মন্টিলুকাস্ট প্রতি পিস ১৫ টাকা, ওমিপ্রাজল প্রতি পিস পাঁচ টাকা, ইনসুলিন ১০০ ইউনিট ৪১৫ এবং ৪০ ইউনিট ১৯৫ টাকা, ইনহেলার ২৫০ টাকা, মাইডাজোলাম প্রতি পিস ১০ টাকা, ফেভিপিরাভির প্রতি পিস ২০০ টাকা, রিভারক্সাবান ২৫ থেকে আট টাকা এবং প্যারাসিটামল আট টাকা পাতা বিক্রি করছেন। ইনসাফ ফার্মেসির পাশের কয়েকটি ফার্মেসিও এসব ওষুধ একই দামে বিক্রি করছে। কিন্তু ভোকেশনাল কলেজ গেট সংলগ্ন হরিপুর ফার্মেসি ও শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের দুই পাশের ঔষধ বিতান, বাবু ফার্মেসি, মেডিসিন কর্নারসহ হাসান ক্লিনিকের সামনে অবস্থিত বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে একই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। কোথাও আইভারমেকটিন প্রতি পিস ১৮ টাকা, ডক্সিসাইক্লিন প্রতি পাতা ২৫ টাকা আবার কোনো কোনো ফার্মেসিতে এজিথ্রোমাইসিন প্রতি পিস ৭৫ টাকা, মন্টিলুকাস্ট প্রতি পিস ১০ ও ১২ টাকা, ওমিপ্রাজল প্রতি পিস তিন টাকা, ইনহেলার ২৩০ ও ৭৯৫ টাকা, মাইডাজোলাম প্রতি পিস কম্পানিভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, নির্ধারিত মূল্যে ওষুধ বিক্রি করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ফার্মেসি ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়া কেউ যাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি না করতে পারে সে জন্য মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর পরও যদি অতিরিক্ত দামে কোনো ব্যবসায়ী ওষুধ বিক্রি করে থাকেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে শহরের কয়েকটি ওষুধের দোকানে কম্পানিভেদে কোনো কোনো ওষুধের দাম কমবেশি রয়েছে। আইভারমেকটিন প্রতিটি ৩০ টাকা, ডক্সিসাইক্লিন পাতা ২২ টাকা (পাতায় ১০টি), এজিথ্রোমাইসিন প্রতিটি ৩৫ টাকা, মন্টিলুকাস্ট প্রতিটি ট্যাবলেট ড্রাগ কম্পানির ১৪ টাকা, ডেলটার ১০ টাকা, স্কয়ারের ১৫ টাকা ও একমির দাম ১৬ টাকা। অমিপ্রাজল প্রতিটি স্কয়ারের ছয় টাকা, অন্যদের পাঁচ টাকা, ইনসুলিন ৩৮০ টাকা (তবে এর বিভিন্ন প্রকার রয়েছে, যার দাম ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা পর্যন্ত)। ইনহেলারও প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাইডাজোলাম প্রতিটি ১০ টাকা করে, রিভারক্সাবান প্রতিটি ২৫ টাকা এবং প্যারাসিটামল ১০ টাকা পাতা (পাতায় ১০টি)। করোনাকালের আগে থেকেই এই দাম চলছে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ফার্মেসিগুলো ঘুরে দেখা যায় এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ এমজি প্রতিটির এমআরপি ৩৫ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আইভারমেকটিন ১০-১৫ টাকা, মন্টিলুকাস্ট প্রতিটি ১৫-১৮ টাকা, রিভারক্সাবান গ্রুপের প্রতিটি ২৫-২৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
রোগীর স্বজন সালমান রহমান বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়ে পাঁচ প্রকারের ওষুধ এক দোকানে চেয়েছে ৫৮০, আরেক দোকানে ৬৪০ টাকা।
করোনার আলোচিত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেভিপিরাভিরের সর্বোচ্চ দামের বিষয়ে রেডিয়েন্ট ফার্মার উপমহাব্যবস্থাপক বদরুল হক বলেন, ‘আগে হয়তো বেশি দাম অনুমোদন করা হয়েছিল, তবে আমরা এটা মার্কেটে এনেছি প্রতিটি ৪০০ টাকা দাম হিসেবে। আরো পরে ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনায় এখন এটা ২০০ টাকা দরে বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের বলে দিয়েছি।’
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন কালের কণ্ঠ’র ঠাকুরগাঁও, বগুড়ার ধুনট, টাঙ্গাইল, জামালপুর এবং ময়মনসিংহের ফুলপুর ও ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধিরা।]