1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত পুলিশের এডিসি হারুনকান্ড: তৃতীয়বার বাড়ল তদন্তের সময়সীমা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: শেখ হাসিনা ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জোর প্রধানমন্ত্রীর

করোনার তিন মাসে ২০৬টি ধর্ষণের ঘটনা

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ২২৪ বার পড়া হয়েছে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা থেমে নেই। চলতি বছরের গত মার্চ, এপ্রিল ও মে- এই তিন মাসে ৪৮০ জন নারী ও শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ২০৬ ঘটনায় ৯০ নারী ও ১১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের জনগণও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিপাকে পড়েছে। করোন সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফায় ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ায় সরকার। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের ভেতর অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় অলস সময় অতিবাহিত করছে। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে হতাশা ও অস্থিরতাবোধ করায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহিংস আচরণের ঘটনা ঘটছে।

নারী ও কন্যাশিশুর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে বেশি। নারী ও কন্যাশিশু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, বৈবাহিক ধর্ষণ, বিবাহ-বিচ্ছেদ ও নারী পাচারের ঘটনা ঘটছে।

করোনা সংকটকালীন পারিবারিক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার নারী আন্দোলন উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এসব পারিবারিক সহিংসতার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হলেও বিভিন্ন সূত্রে নারী আন্দোলন কর্মীদের গোচরীভূত হয়। বিভিন্ন সংগঠনের তাৎক্ষণিক সমীক্ষার ফলাফলেও তা দেখা যায়।

নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি যেসব সহিংসতার ঘটনা অধিকতর সংবেদনশীল, সেই ঘটনাগুলোই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। করোনা সংকটকালীন সহিংসতার শিকার নারী ও কন্যাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের কাছ থেকে সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগও সীমিত হওয়ায় এবং গণমাধ্যমকর্মীদেরও সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা মনে করি, প্রকৃত তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে না।

মহিলা পরিষদ তাদের তিন মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, গত মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাসের খবর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে ৪৮০ জন। এর মধ্যে নারী ২৬৭ জন, শিশু ২১৩ জন। ধর্ষণের ঘটনা ২০৬টি। ৯০ নারী ও ১১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গত মার্চ মাসেই সহিংসতার ঘটনা ২৪৩টি। তার মধ্যে ১৩৯ নারী ও ১০৪ শিশু রয়েছে। ধর্ষণের শিকার ৮১ জন নারী-শিশু। তাদের মধ্যে নারী ৩৮ জন ও শিশু ৪৩ জন।

এপ্রিল মাসে সহিংসতার ঘটনা ১২২টি। এর মধ্যে নারী ৫৮ জন ও ৬৪ জন শিশু। ধর্ষণের ঘটনা ৬৮টি। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী ও ৪৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

গত মে মাসে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১১৫টি। এর মধ্যে ৭০ নারী ও ৪৫ শিশু সহিংসতার শিকার। তাদের মধ্যে ৫৭ ধর্ষণের ঘটনায় ২৯ নারী ও ২৮ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর