1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:১৩ অপরাহ্ন

করোনার ‌‘জীবনরহস্য উন্মোচন’ করলেন বাংলাদেশি গবেষকরা

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ মে, ২০২০
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

জীবন প্রায় থমকে গেছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে৷ কোথাও যেন এতটুকু জায়গা নেই, যেখানে দাঁড়িয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। সবর্ত্র হাহাকার আর কান্নার আওয়াজ আকাশে-বাতাশে ভাসছে। আশার আলোর দেখা মেলছে না। বাংলাদেশে চলছে লকডাউন। এই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে দেশের মানুষ। কী গ্রাম কী শহর সর্বত্র একই অবস্থা বিরাজমান।প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা । বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্স (জীবনরহস্য) উন্মোচন করেছে শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশন।

জিনোম সিকোয়েন্স তথ্যটি স্বীকৃতির জন্য মঙ্গলবার জার্মানির সংস্থা গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটায় (জিআইএসএইড) জমা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভাইরাসটির জীবনকাল, গতি-বিধি, আক্রমণের ধরন ইত্যাদি জানা সহজ হবে। জিআইএসএইডের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, গতকাল শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সিকোয়েন্সটি জমা দিয়েছেন সেঁজুতি সাহা। প্রতিষ্ঠানটির অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা ড. সমীর সাহার মেয়ে।

এই গবেষণায় তার সঙ্গী ছিলেন রলি মালাকার, সাইফুল ইসলাম সজীব, হাসানুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, শাহিদুল ইসলাম, জাবেদ বি আহমেদ ও মাকসুদ ইসলাম। গত ১৮ এপ্রিল এই গবেষণা দলটি ২২ বছর বয়সী এক নারীর কাছ থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে।

জানতে চাইলে সিএইচআরএফের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, করোনাভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্স বাংলাদেশেও উন্মোচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো এ ধরনের গবেষণার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কারণ এ ধরনের ভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্সিং বেশ জটিল। কিন্তু তাদের গবেষক দল এটি খুব সহজভাবেই করেছে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই ধরন রাশিয়া ও সৌদি আরবেও দেখা গেছে। আরও ৫০ থেকে ১০০টি সিকোয়েন্স করলে বোঝা যাবে আমাদের দেশে কোন স্ট্রেইন (ধরন) সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং সেটা কতটা মারাত্মক।

এর ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ, বিস্তার, আচরণ এবং এর অভিযোজনের ধরনগুলোও জানা যাবে। একই সঙ্গে জিনম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে যে ধরনের ভ্যাকসিন আসবে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটা কার্যকর এবং সেগুলো কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কিনা তাও সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

এই গবেষণাকাজে সহায়তা করার জন্য ড. সমীর সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গেটস ফাউন্ডেশন, চ্যান-জাকারবার্গ বায়ো-হাবকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গবেষষকরা করোনাভাইরাসের জীবন রহস্য উন্মোচন করে তার তথ্য জার্মািনর জিআইএসএইডে জমা দিয়েছে স্বীকৃতির জন্য। সত্যিই বাংলাদেশে করোনার জীবনরহস্য উন্মোচন হয়েছে এবং বাংলাদেশি গবেষকরা তা করতে সক্ষম হয়েছেন, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে জিআইএসএইডের স্বীকৃতির পরেই। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কয়েকটি দেশ, চীন এবং ভারতেও ওইসব দেশের প্রেক্ষাপটে করোনাভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন সেসব দেশের গবেষক। এর আগে বাংলাদেশি গবেষকরা পাট, ছাগল ও মাছের জীবনরহস্য উন্মোচন করে সফলতা দেখিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে৷ এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। সরকারি হিসেবে করোনা বাংলাদেশে প্রথম হানা দেয় ৮ মার্চ। দেশে যাতে এ ভাইরাসের প্রকোপ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৯৬৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন।এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ২৫০ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৬০ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ১৪৭ জন।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর