চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ৭১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে আজ (৮ মে) দুপুরে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩৯ লাখ ৩২ হাজার ৬২৩ জন মানুষ। বর্তমানে ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৮ হাজার ৯৪৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ১২১ জন।
এদিকে আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে আমেরিকা। দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭৬ হাজার ৯৪২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ১২৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে নিউইয়র্কে। সেখানে হাসপাতালে নতুন রোগী নেওয়ার কার্যত কোনও জায়গা নেই। পাওয়া যাচ্ছে না মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা। এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৩৬৫ জন।
মৃতের সংখ্যায় আমেরিকার পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ ব্রিটেন। দেশটিতে মারা গেছেন ৩০ হাজার ৬১৫ জন। এছাড়া ইতালিতে ২৯ হাজার ৯৫৮, স্পেনে ২৬ হাজার ৭০, ফ্রান্সে ২৫ হাজার ৯৮৭, জার্মানিতে ৭ হাজার ৩৯২ জন মৃত্যুবরণ করেন।
বাকি ইউরোপের পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হলেও রাশিয়ায় নতুন করে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে। জার্মানি এবং ফ্রান্সকে টপকে রাশিয়া এখন পঞ্চম বৃহত্তম করোনা আক্রান্ত রাষ্ট্র। মোট আক্রান্তের পরিমাণ ১ লাখ ৭৭ হাজার। গত চার দিনে রেকর্ড পরিমাণ রোগী বেড়েছে। একেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এরই মধ্যে আরও এক আতঙ্কের কথা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা না গেলে আফ্রিকায় এই মহামারি ভয়াবহতম চেহারা নিতে পারে। আক্রান্ত হতে পারেন তিন থেকে চার কোটি মানুষ। মৃত্যু হতে পারে ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ লোকের। শুধু তাই নয় প্রথম আঘাতের পরে ফের নতুন ঢেউ নিয়ে ফিরে আসতে পারে করোনা। ফলে যে সব দেশ দ্রুত লকডাউন তোলার পরিকল্পনা করছে, তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।