প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। ইতোমধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। গতকাল তিনি নিজেই টুইট করে তার আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। পাকিস্তানের করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকেই আফ্রিদি মাঠে নেমে কাজ করছিলেন। দুস্থ মানুষদের সাহায্যের জন্য পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে তাকে। এমনকী বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়েও ত্রাণ বিতরণ করেছিলেন আফ্রিদি। এবার তিনি নিজেই আক্রান্ত।
শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে গিয়েই নাকি আফ্রিদির শরীরে করোনার সংক্রমণ হয়। কিছুদিন আগেই কাশ্মীরে গিয়ে খোলা মঞ্চ থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন আফ্রিদি। সেদিন ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘করোনাভাইরাসের চেয়েও খারাপ’ বলেছিলেন। আফ্রিদির সেদিনের ভাষণের পর ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা আফ্রিদির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
পাকিস্তানের বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীকে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। মুজাফ্ফরাবাদ ছাড়াও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক এলাকায় বেশিরভাগ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছিল। এছাড়া সেখানকার একাধিক হাসপাতালে চলছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। তবে সেইসব হাসপাতালের চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত পিপিই পাচ্ছিলেন না। এমনকী ওই অঞ্চলে করোনা টেস্টের ল্যাব পর্যাপ্ত ছিল না। এসব নিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ বিক্ষোভও করেছে।
এর মাঝেই আফ্রিদি হঠাৎ করে চলে যান মুজা্ফ্ফরাবাদে। তারপর খোলা মঞ্চ থেকে ভাষণ দেন। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজারো মানুষ। বক্তৃতা দেওয়ার সময় আফ্রিদির মুখে মাস্ক ছিল না। তার আশেপাশে থাকা বেশ কিছু মানুষের মুখেও মাস্ক ছিল না। বলতে গেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কোনোরকম নিশ্চিত না করেই আফ্রিদি মানুষের মাঝে বক্তৃতা দিতে চলে যান। পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, এই অসাবধানতার জন্যই এবার মাশুল গুণতে হচ্ছে আফ্রিদিকে।পাকিস্তানে এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৫ হাজার। মারা গেছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।