1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

ক্ষুধার সূচকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে ভারত

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

পৃথিবীর ক্ষুধার রাজ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে দেশগুলো, সেই তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে ভারত।

ক্ষুধা মেটানোর নিরিখে উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে আফ্রিকার তিন দেশ- চাঁদ, মাদাগাস্কার ও তিমুর। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ তালিকার একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে চীন। প্রথম ২০-এ আছে– ব্রাজিল, চিলি, কিউবা, আজেন্টিনাসহ বেশ কয়েকটি লাতিন আমেরিকার দেশ।

গত শুক্রবার এ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ক্ষুধা মেটানোর নিরিখে ভারতের তুলনায় শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তান ভালো অবস্থানে রয়েছে।

এ বছর ১০৭ দেশের ক্ষুধার সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ভারত রয়েছে ৯৪তম স্থানে। ২০১৯-এ ভারতের র‌্যাংকিং ছিল ১০২।

তালিকায় ৬৪তম স্থানে রয়েছে শ্রীলংকা, নেপাল ৭৩, বাংলাদেশ ৭৫ ও পাকিস্তান ৮৮তম স্থানে।

অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুর উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের মতো কয়েকটি মাপকাঠিতে বিভিন্ন দেশকে বিচার করে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক।

ক্ষুধা সূচকের চারটি মাপকাঠি স্থির করা হয়েছে। সেই মাপকাঠিতে কোনো দেশ ১০-এর নিচে থাকলে সেখানে অভুক্তের সংখ্যা ‘সবচেয়ে কম’। ১০-১৯.৯-এর মধ্যে থাকলে ‘মাঝারি’, ২০-৩৪.৯ বোঝাতে ‘গুরুতর’ এবং সেই মাপকাঠিতে ৩৫ থেকে ৫০-এর মধ্যে ‘উদ্বেগজনক’ এবং ৫০-এর ঊর্ধ্বে কোনো দেশ থাকলে সেখানে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে চিহ্নিত করা হয়।

ক্ষুধা মেটানোর নিরিখে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ১৭ দেশ। ক্ষুধা সূচকের মাপকাঠিতে এ দেশগুলো রয়েছে ৫-এর নিচে। ৫-এর বেশি কিন্তু ১০-এর নিচে রয়েছে ৩০ দেশ।

ক্ষুধা সূচকের মাপকাঠিতে ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে ২৬ দেশ এবং ২০ থেকে ৫০-এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ দেশ।

দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকায় ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ক্ষুধার সূচকের মাপকাঠিতে এরা যথাক্রমে ২৬.০ ও ২৭.৮।

ক্ষুধা সূচকের এ মাপকাঠির ১০০-এর মধ্যে ভারতের স্কোর ২৭.২। ফলে ‘গুরুতর’ জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। তবে ২০০০, ২০০৬ ও ২০১২-এর তুলনায় এ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২০১২ সালে ভারতের স্কোর ছিল ২৯.৩, ২০০৬-এ ৩৭.৫ ও ২০০০ সালে ৩৮.৯।

এই মাপকাঠিতে ১০০-এর মধ্যে শ্রীলংকার স্কোর ১৬.৩, নেপাল ১৯.৫, বাংলাদেশ ২০.৪ ও পাকিস্তান ২৪.৬।

বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের রিপোর্ট বলছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন। ভারতে চাইল্ড স্টান্টিংয়ের হার ৩৭.৪ শতাংশ।

পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুর উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের বিষয়টি (চাইল্ড ওয়েস্টিং) সবচেয়ে বেশি প্রকট দক্ষিণ এশিয়ায়। ভারতে এই ধরনের ঘটনার হার ১৭.৩ শতাংশ, যা ২০১৯-এ ছিল ২০.৮ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর