ডেইলি খবর ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তার স্থায়ী মুক্তির আবেদন করেছেন তার পরিবার। গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা ওই আবেদনে তার উন্নত চিকিৎসার জন্যও অনুমতি চাওয়া হয়। খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন,খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের আবেদন আমরা পেয়েছি। তবে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার এর আগে ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে এবং গত ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে তিনি মুক্তি লাভ করেন। সে হিসাবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ছয় মাস পূর্ণ হবে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। আবেদনে করোনাকালীন দুর্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি এবং তাঁর সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শারীরিক অসুস্থতার কোনো পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
আবেদনে আরো বলা হয়, এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অফিস-আদালতসহ গণপরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও এসংক্রান্ত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আবেদনে সবশেষে উল্লেখ করা হয়,খালেদা জিয়ার বয়স,শারীরিক অসুস্থতা ও মানবিক বিবেচনায় তার স্থায়ী মুক্তির আবেদন করা হলো।’কারামুক্তির শর্ত হিসেবে গত প্রায় ছয় মাস গুলশানের ‘ফিরোজায়’ চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যাননি। অস্থায়ী কারামুক্তির পর তিনি কোনো রাজনৈতিক কথা বা বক্তৃতা-বিবৃতি দেননি। এমনটি আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও করেননি। গত ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার দিনে স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মাত্র।