দেড় বছর পর সশরীরে ক্লাসে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারির কারণে ১৭ মাস ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তরে পড়ুয়া ৪ কোটি শিক্ষার্থী পড়ে বিপাকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দীর্ঘ মেয়াদের এই ছুটি নজিরবিহীন। অভিভাবকরাও দাবি তোলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় একদিকে যেমন অভিভাবকরা আনন্দিত, তেমনি সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন তারা।
উদ্বেগটা মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে- সে বিষয়ে। অনেকেই দোটানায় রয়েছেন তার সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিয়ে।
ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে আসা এক ছাত্রীর মা রুবি বেগম বলেন, অনেক দিন বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। আশা করছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি পূরণ হবে। তবে সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে বেশ টেনশনে আছি। এত শিক্ষার্থীকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা হবে বুঝতে পারছি না।
বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিভাবক দুলাল ঘোষ বলেন, এতদিন পর স্কুল খোলায় বাচ্চাকে নিয়ে বেশ আতঙ্কে আছি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব ছেলেমেয়ে এবং অভিভাবকরা একসঙ্গে হবে, তাদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত থাকতে পারে। কোনো অভিভাবকের বাসায় আক্রান্ত রোগী থাকতে পারে। এর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয়ে একটু বাড়তি টেনশনে আছি আর কি?
এ প্রসঙ্গে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু সময়ের আলোকে বলেন, দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে এর জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। খোলার আগে টিকা দেওয়া নিশ্চিত হওয়া দরকার ছিল।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কঠিন কাজ। এ ব্যাপারে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।