বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এমএ আজাদের (সজল) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি কোতোয়ালি) মো. রাসেল।
তিনি বলেন, মমতা হাসপাতালের নয় কর্মীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্ত ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডি পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর কালীবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, গতকাল থেকে ডা. আজাদ নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে শহরের কালীবাড়ী সড়কে মমতা ক্লিনিকের লিফটের নিচে ফাঁকা জায়গায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। কেন, কীভাবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন সেটা আমরা জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে, তারা বিষয়টা দেখছে।
জানা গেছে, মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল ভবনটি ১০ তলা। এর ১ থেকে ৬ তলা পর্যন্ত হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। বাকি তিন তলা ভাড়া দেয়া হয়েছে। ভবনটির ৭ তলায় ভাড়া থাকতেন ডা. আজাদ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোক্তার হোসেন জানান, এক ওটি বয় লিফটের নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করছে।
তিনি বলেন, লিফট থেকে পড়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটার কথা নয়। এটি স্বাভাবিক কোনো দুর্ঘটনা বলেও মনে হচ্ছে না। এছাড়া মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব না। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এনএইচ/