যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদে। মানবপাচার, মুদ্রাপাচার ও শ্রমিক নিপীড়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েতের তদন্তদল গত রবিবার পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে তিনি গতকালও রিমান্ডে ছিলেন। আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাপুল তাঁর অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কুয়েতের তিন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার নাম বলেছেন। এর পাশাপাশি দুজনকে ২১ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৮ কোটি টাকা) ঘুষ দেওয়ার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন। তদন্তকারীরা এমপি পাপুলের কাছ থেকে আরো নাম বের করার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে এমপি পাপুল ঘুষ হিসেবে ১০ লাখ দিনারের চেক এবং এক লাখ দিনার নগদ দিয়েছিলেন। আরো একজনকে দিয়েছিলেন নগদ ১০ লাখ দিনার।
জিজ্ঞাসাবাদে পাপুল কুয়েতের একটি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা কুয়েতে এমপি পাপুলের ক্লিনিং কম্পানিতে গিয়েছিলেন। তাঁকে যাতে কেউ চিনতে না পারে সে জন্য সেখানে যাওয়ার আগেই কম্পানির কুয়েতি কর্মীদের অন্যত্র পাঠাতে বলেছিলেন ওই কর্মকর্তা। এমপি পাপুল কুয়েতি কর্মকর্তাকে ১০ লাখ দিনারের যে চেক দিয়েছিলেন তার প্রতিলিপিও সংগ্রহ করেছে কুয়েতি তদন্তদল।
বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করতে এমপি পাপুল কুয়েতি এক কর্মকর্তাকে নগদ ১০ লাখ দিনার ঘুষ দেন। আরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপি পাপুলের অপকর্মের ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনই গত সোমবার কুয়েত ছেড়ে গেছেন। অন্যদিকে পাপুলের জামিনে মুক্তি চেয়ে তাঁর আইনজীবী নাসের আল হাসবান বলেছেন, পাপুল বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য। এ পরিস্থিতিতে তিনি জামিনে মুক্ত হলে কুয়েত ত্যাগ করবেন না।