1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত পুলিশের এডিসি হারুনকান্ড: তৃতীয়বার বাড়ল তদন্তের সময়সীমা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: শেখ হাসিনা ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জোর প্রধানমন্ত্রীর

জি কে শামীম শুয়ে-বসে হাসপাতালে

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০২০
  • ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম হাসপাতালে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছেন। দুই মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে ফেরত নিতে গত সপ্তাহেও কারাগার থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র না দেওয়ায় তাঁকে ফেরত নেওয়া যায়নি বলে এক কারা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গত বুধবার জি কে শামীম ও তার সাত অস্ত্রধারী দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। ওই অভিযোগপত্রে বিভিন্ন ব্যাংকে জি কে শামিমের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় তাঁর দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমি রয়েছে। এসব জমির দাম ৪১ কোটি টাকা। জি কে শামীম তাঁর অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে এসব সম্পদ অর্জন করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ছয় হাজার ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৪২ টাকা লেনদেন করেন। এর মধ্যে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সর্বাধিক লেনদেন হয়।

জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তার ব্যাংক লেনদেনে সর্বমোট ক্রেডিট হয়েছে তিন হাজার ৪২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১ টাকা। আর ডেবিট হয়েছে তিন হাজার ১৫ কোটি ৬৬ লাখ তিন হাজার ৭৫১ টাকা। জি কে শামীম তাঁর চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

ক্যাসিনোকাণ্ডে অভিযানের একপর্যায়ে র‌্যাব গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমের বাসা ও তার কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দেহরক্ষী দেলোয়ার হোসেন (৩৯), মুরাদ হোসেন (৫২), জাহিদুল ইসলাম (৪১), শহিদুল ইসলাম (৩৬), কামাল হোসেন (৪৯), সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর তাঁকে র‌্যাব, সিআইডি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পর থেকে তিনি কারাগারে। দুই মাস আগে অসুস্থ হলে তাঁকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সাধারণ সেলেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। জানা গেছে, উচ্চপর্যায়ের তদবিরে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কারা সূত্র জানায়, জি কে শামীমের ডান হাতে একটি ক্ষতের স্থানে প্লেট বসানো আছে। সেখানে ব্যথার কারণে তাঁকে বিএসএমএমইউর অর্থোপেডিক বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘জি কে শামীমকে ফেরত আনতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে তাঁকে কারাগারে ফেরত আনা হবে।’

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর