কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. সাকের (২২) নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ মে) ভোরে উপজেলার মোচনী লবণ মাঠে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাকের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসিন্দা খাইরুল আমিনের ছেলে। বিজিবির দাবি, তিনি ইয়াবা কারবারি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে।
টেকনাফ-২ এর বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খানের ভাষ্যমতে, নাফ নদী পার হয়ে মাদকের একটি চালান মোচনী লবণ মাঠ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল মোচনী ও নয়াপাড়া লবণের মাঠে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন লোককে বস্তা নিয়ে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করেন। কিন্তু তারা না থেমে উল্টো বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। পরে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে গোলাগুলি থামলে ঘটনাস্থলে দুই লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ধারালো কিরিচ, একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে মৃত ব্যক্তি রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি বলে শনাক্ত করা হয়।
বিজিবির ওই অধিনায়ক বলেন, এ ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।