হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের নতুন কোচ টবি র্যাডফোর্ড এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, বিদেশেও ক্রিকেটাররা যাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করবেন তিনি।
একই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটার তৈরির লক্ষ্য নিয়েও বাংলাদেশে এসেছেন র্যাডফোর্ড। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমদিনেই বলেছি দেশের মাটিতে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল। তারা জানে নিজেদের কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয়। আমার দায়িত্বের একটি বড় অংশ হবে এমন খেলোয়াড় তৈরি করা, যারা বিশ্বের যে কোনো শহরে ভালো করতে পারে।’
এইচপি কোচ বলেন, ‘দু’বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে আমি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলাম। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল এবং অন্য ফাস্ট বোলাররা বাংলাদেশের টপঅর্ডার গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে আমি অন্য বাংলাদেশকে দেখতে পাই। ওয়ানডে ও টি ২০ দুই ফরম্যাটেই জিতে যায় তারা। আমি বোর্ডকে বলেছি এমন কিছু খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই যারা টেস্ট ক্রিকেটে দাঁড়াতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বোলিং করবে কিংবা উইকেটে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়াতে পারবে। ক্যাম্পে লাল বলের অনুশীলন হচ্ছে। স্থানীয় কোচদের কাছ থেকে শুনেছি, এখানকার ছেলেরা খুব বেশি লাল বলে খেলার সুযোগ পায় না।
ব্যাটসম্যানদের মানসিকতায় রানের দিকে তাড়া থাকে। সমস্যাটা মানসিকতায়।’ এরই মধ্যে চার-পাঁচজনকে খুবই পছন্দ হয়েছে কোচের। কিন্তু এখনই কারও নাম বলতে চান না তিনি, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এখান থেকে ভালো কিছু ক্রিকেটার বের হবে। যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবে।’