তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত সোমবারের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশ দুটির উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়াদের উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ তৎপরতা গতিশীল হবে বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস প্রদেশে উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে যান এরদোয়ান। সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যা ছিল; যে কারণে শুরুর দিকে উদ্ধার তৎপরতায় তেমন গতি আনা সম্ভব হয়নি।’
স্থানীয় সময় গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প দেশ দুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এ ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাসেও। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের পর এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।