কুয়েতে গ্রেপ্তার লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৪৯ নম্বর মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ২২ জুলাই তাদেরকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বুধবার দুদক উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত তলবী নোটিশগুলো সেলিনা ইসলামের রাজধানীর গুলশানের বাসার ঠিকানায় ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের গুলশানের ও কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নিজ বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, এমপি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক পাপুলসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে ঋণ বরাদ্দ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বিদেশে পাচার এবং শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংকান্ত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
দুদক সহৃত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে পাপুলের মানব, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট অন্যদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের অধিকাংশই পাপুলের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পাপুলের মেয়ে ওয়াফা ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এছাড়া যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তারা হলেন- লক্ষীপুরের রায়পুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জামশেদ কবীর বাকিবিল্লাহ, লক্ষীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও লক্ষীপুর জেলা যুবলীগ সভাপতি এসএম সালাহউদ্দিন টিপু, লক্ষীপুর জেলা পরিষদ সদস্য শাখাওয়াত হোসেন আরিফ ও লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তাদের বিরুদ্ধে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাপুলের পক্ষে নির্বাচিনী কাজ করে বিনিময়ে অবৈধভাবে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়,রায়পুর উপজেলার সাবেক যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী খোকন ও আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধেও পাপুলের নির্বাচনী কার্যক্রমে জড়িত থেকে বেআইনি আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।