মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

পদ্মা রেলসেতু নিয়ে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী

প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, অক্টোবর ৩১, ২০২০

পদ্মা রেলসেতু নিয়ে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালী

উচ্চতা ক্রুটির পর পদ্মা রেলসেতুতে সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়েও খামখেয়ালী শুরু করেছে রেলসেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিআরইসি। রেলসেতুর চুক্তির সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং রেলপ্রজেক্টে দায়িত্বরত বাংলাদেশী কর্মকর্তারা সুষ্পষ্টভাবে (লিখিত চুক্তি) উল্লেখ করেছিলেন, পদ্মা রেলসেতুর সিগন্যালিং সিস্টেমে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত সিগন্যালিং সিস্টেম নিতে হবে। সেক্ষেত্রে গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশে ব্যবহৃত তিনটি কোম্পানির যেকোন একটি নেয়ার শর্ত দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রেলওয়ের চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সিগন্যালিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রেলসেতুর চূড়ান্ত চুক্তির সময় সিগন্যালিং সিস্টেম দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নেয়ার বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার কথা জানালেও, দীর্ঘদিন পরে চীনেরই একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়ার আগ্রহ দেখায়। বাংলাদেশে অপরীক্ষিত ওই সিস্টেম নেয়ার ব্যাপারে অপরাগতার কথা জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। পদ্মা রেলসেতুর কারিগরি কমিটি চারবার তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব সিগন্যালিং সিস্টেম চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা রেলসেতু দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করবে। বাংলাদেশের রেল কর্মীদের উপর অনভ্যস্ত একটি সিস্টেম চাপিয়ে দিলে অন্যান্য রুটের সঙ্গে সমন্বয়ে সমস্যা হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকবে। যেটি বাংলাদেশ রেলওয়ে চিঠি দিয়ে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিআরইসিকে জানিয়েছে। এছাড়া, চীনের ওই সিগন্যালিং সিস্টেম তাদের দেশ ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। এ’ অবস্থায় চীনের খামখেয়ালী মেনে নিলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বাংলাদেশের রেলযোগাযোগ।
Link copied!