ডেইলি খবর ডেস্ক: যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধেঅস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো আসামিদের আনুষ্ঠানিক বিচার।

রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন। এর আগে তাদের দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে অভিযোগ গঠন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি চান।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের আবেদনের বিরোধিতা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ এফ এম গোলাম ফাত্তাহ বলেন, ‘রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মামলা মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো, যার কোনো ভিত্তি নেই। এমনকি অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক কে, সেটি মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র ও রিমান্ড প্রতিবেদনেও আসেনি। আমরা এই মামলার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব।’

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। কিন্তু এখানে এ ধরনের কোনো গন্ধ নেই। আর কে কোন দল করল, সেটা বিষয় না। আইন সবার জন্য সমান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর আগে পাপিয়া গ্রেফতারের পর তার নানা অপকর্মের অভিযোগে বলা হতো পাপিয়াকান্ড।