1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

পাপুল-কাণ্ডে কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হবে: মোমেন

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০
  • ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘পেপারে আমরা দেখছি। পেপারে অভিযোগও আসতেছে।’

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কালামের মেয়াদ চলতি মাসে শেষ হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসেই উনি চলে আসবেন। আমরা নতুন রাষ্ট্রদূত কে হবেন, সেটাও নির্ধারণ করেছি। যে কোনো দিন উনি যাবেন।’

পাপুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এখনো কুয়েত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শোনার পরপরই আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি- আপনি এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য নিয়ে আসেন। সরকারের ভার্সনটা নিয়ে আসেন।’

একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘কী কারণে উনাকে (পাপুল) গ্রেপ্তার করেছে। তারা কোনো চার্জও করে নাই। সে সরকার আমাদের কিছু জানায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকায় কুয়েতি অ্যাম্বাসেডরকে অ্যাপ্রোচ করলাম যে, আপনি তথ্যগুলো দেন। আজকে সপ্তাহখানেক হয়ে গেল উনিও কোনো তথ্য নিয়ে আসেন নাই।’

এ সময় অর্থ ও মানবপাচারের বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর অবস্থান রয়েছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুব দুঃখজনক। এটা আরও দুঃখজনক এই জন্য যে, আমরা ট্র্যাফিকিং বন্ধ করার জন্য কত চেষ্টা চালাচ্ছি, এর মধ্যে একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিদেশে অভিযোগটা এসেছে, কুয়েতে।’

তিনি বলেন, ‘উনি নাকি ট্র্যাফিকিং ও মানি লন্ডারিং করেছেন; এই দু’টো অপকর্মের অভিযোগ এসেছে। এটা কুয়েতের পত্র-পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। কুয়েত সরকার এ বিষয়ে আমাদের অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি।’

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের কুয়েতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।

পাপুলের মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঁচ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার বা বাংলাদেশি টাকায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

এরপর ২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে বাংলাদেশি এই এমপিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর