‘নবাব এলএলবি’ ছবিতে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে পর্নগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার শরিফুল ইসলাম।
তিনি জানান, ছবিতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া একজন ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে পুলিশকে হেয় করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা নেই। পরিচালকই মূলত এর জন্য দায়ী।
শরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার এজাহারে ৩ নম্বর আসামি হিসেবে অর্চিতা স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অপরাধের দায়ভার বিশ্লেষণ করে এজাহার থেকে এই অভিনেত্রীর নাম বাদ দেওয়া হয়।
স্পর্শিয়া বলেন, এই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে কি না সেটা জানা নেই তার। তবে এজাহার থেকে তার নাম বাদ দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমার ওই দৃশ্যটি নিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, দৃশ্যটি এমন ছিল যে আমি ধর্ষিত হয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছি। সেখানে তারা এজাহার লিখছে। এজাহারে যা যা থাকে তার উত্তর দিয়েছি। কিন্তু যেভাবে সংলাপগুলো দেওয়া হয়েছে, তাতে পুলিশকে হেয় করা হয়েছে। সিনেমাটির যদি সেন্সর হতো, তাহলে ওই দৃশ্যটিসহ সিনেমাটি সেন্সর ছাড়পত্র পেত না।’
গত ১৬ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আই থিয়েটারে মুক্তি দেওয়া হয় ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমাটি। সিনেমার একটি দৃশ্য পুলিশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দৃশ্যে দেখানো হয়, ধর্ষণের শিকার এক নারী মামলা করার জন্য থানায় যান। সেখানে পুলিশের এক এসআই (অভিনয় করেছেন শাহীন মৃধা) ওই নারীকে ধর্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, যা নিয়ে আপত্তি জানায় পুলিশ।
পরে ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমার দৃশ্যে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ছবির পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহীন মৃধাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।