1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:২০ পূর্বাহ্ন

প্রথমবারের মতো গোপনীয় প্রতিবেদন দিচ্ছেন ডিসিরা

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বাইরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। উপসচিব পদে আসন্ন পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ নিয়েছে এসএসবি (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড)।

১৫ অক্টোবরের মধ্যে ছক আকারে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে তথ্য পাঠাতে গত সপ্তাহে ডিসিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গোপনীয় প্রতিবেদন নেয়ার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অনেকটা বিলম্বে হলেও এ দাবি পূরণ হওয়ায় সাধারণ কর্মকর্তারা খুশি। তবে সঠিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মর্যাদা সুরক্ষাসহ ডিসির ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সংসদীয় কমিটির এক সভায় তিনি এ বিষয়ে বিশদ বক্তব্যও দেন। সেখানে তিনি বলেন, অনেক সময় ত্রুটিপূর্ণ গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কারণে মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তাদের কেউ কেউ পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে থাকেন-যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এ কারণে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গোয়েন্দা প্রতিবেদন যাচাই করে নিতে তিনি সে সময় উল্লিখিত অনুশাসন দিয়েছিলেন।

সূত্র জানায়, ২৭তম ব্যাচকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু নানা কারণে সেটি বেশিদূর এগোতে পারেনি।

১৩তম ব্যাচ থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার ঝুলে থাকা প্রক্রিয়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এখন আগামী মাসে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়ার শেষ প্রস্তুতি চলছে। তবে এই পদোন্নতিকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও অর্থবহ করতে ডিসিদের মাধ্যমে গোপনীয় প্রতিবেদন নেয়া হচ্ছে।

প্রশাসনে বেশিরভাগ কর্মকর্তার দীর্ঘদিনের এ গুরুত্বপূর্ণ দাবিটি পূরণ করতে গত সপ্তাহে ডিসিদের কাছে এ সংক্রান্ত অতি গোপনীয় চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত কর্মকর্তাদের জেলাভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করে তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য লিপিবদ্ধ করতে সঙ্গে একটি ছক সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

যেখানে প্রথমে রয়েছে কর্মকর্তার নাম ও পরিচিতি নম্বর (যদি থাকে) এবং বর্তমান কর্মস্থলের নাম। এরপর লিখতে হবে স্থায়ী ঠিকানা। তৃতীয় ধাপে কর্মকর্তার রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং চতুর্থ ধাপে লিখতে হবে কর্মকর্তার পরিবারের রাজনৈতিক মতাদর্শ। এ ছাড়া ছক আকারে এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আরও চারটি তথ্যসহ প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পরিবারের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কি না; তার পরিবারের অন্য সদস্যদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কী; পরিবারের কোনো সদস্য সরকার কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে নিয়োজিত ছিলেন কিংবা আছেন কি না এবং সব শেষে, সরকারি চাকরি পাওয়ার পর কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত দৃশ্যমান কোনো তথ্য-প্রমাণ কিংবা জনশ্রুতি আছে কি না।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতিপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়ে এসব তথ্য সংগ্রহের জন্য মাঠপর্যায়ে কর্মরত ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডদের মাধ্যমে তথ্য নিচ্ছেন ডিসিরা। ইউএনও ও এসি ল্যান্ডরা তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করছেন তার অফিস স্টাফ ও তহশিলদারদের। কিন্তু এভাবে যাকে-তাকে দিয়ে এ ধরনের গোপনীয় স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করা নিয়ে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

কর্মকর্তাদের অনেকে জানিয়েছেন, প্রথমত কাদের মাধ্যমে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে-সেটি নির্বাচন করতে যেন ভুল না হয়। এখানে ভুল হলে সব শ্রম মাটি হয়ে যাবে।

বিতর্কিত কিংবা কোনো রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট লোকজন দিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করলে সঠিক প্রতিবেদন কখনও আসবে না। এ জন্য ডিসিদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
তারা মনে করেন, সৃষ্ট যেসব প্রশ্নের কারণে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বাইরে ডিসিদের মাধ্যমে এখন তথ্য নেয়া হচ্ছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে তথ্য সংগ্রহকারী লোকও বিশ্বস্ত ও নিরপেক্ষ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানোর আগে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ডিসিদের আরও ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর