1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশেও টিকার অনুমোদন, সময়মতো পাওয়ার আশ্বাস

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

ভারতের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশকে করোনার টিকা দেবে সেরাম—এমন শিরোনামে রবিবার গভীর রাতে আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে দেশে হুলুস্থুল চলেছে গতকাল সোমবার দিনভর। তবে এই খবর সঠিক নয় দাবি করে ভারত বলছে, সময়মতোই টিকা পাবে বাংলাদেশ। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়েই অন্য দেশের আগে এবং ভারত থেকে বাইরে টিকা রপ্তানির প্রথম দেশ হিসেবে টিকা পাবে বাংলাদেশ। চলতি জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাংলাদেশ টিকা পাবে বলে এখনো আশাবাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকা উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া, যা বেক্সিমকোর মাধ্যমে কিনে আনছে বাংলাদেশ। সেরামের এই টিকা গতকাল রাতেই জরুরি আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এই টিকা আসা নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো জানিয়েছে, চুক্তির নির্ধারিত সময়েই টিকা পাবে বাংলাদেশ, সংশয় নেই। টিকার ভারতীয় উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, টিকা রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

দেশে করোনাভাইরাসের টিকা আনার আগাম প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো সব ঠিকঠাকই চলছিল। তবে রবিবার গভীর রাতে আন্তর্জাতিক ওই গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ভারত সরকার নিজ দেশে টিকার চাহিদা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিয়ে গতকাল সকাল থেকেই দেশে সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় হুলুস্থুল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তৎপরতা বেড়ে যায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের। দুপুরের আগেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী। বিকেলে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সন্ধ্যায় ব্রিফ করেন দেশে টিকা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এর মাঝেই বিচ্ছিন্নভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চলতে থাকে যোগাযোগ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতের পক্ষ থেকেও আসতে থাকে বক্তব্য। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের পক্ষ থেকে একই সুরে আগের মতোই নিশ্চিত করা হয়, চুক্তি অনুসারে যথাসময়ে, অন্য দেশের আগে এবং ভারত থেকে বাইরে টিকা রপ্তানির প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশই টিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে কয়েক দিন ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছিল, জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই দেশে টিকা আসবে, সেই অবস্থানেই রয়েছে সর্বশেষ পরিস্থিতি। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা হলেও তা বাংলাদেশে টিকা আসার পথে বাধা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে সব পক্ষ থেকেই।

পূর্বনির্ধারিত সময়মতোই ভ্যাকসিন পাব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সকাল সাড়ে ১১টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারসহ অন্যরা। বৈঠকে টিকাকেন্দ্রিক সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের মধ্যেই দফায় দফায় ভারতীয় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্যসেবা সচিবসহ আরো একাধিক কর্মকর্তা। যোগাযোগ করা হয় টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও। বৈঠক শেষে পরিস্থিতি তুলে ধরে গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব।

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চুক্তি করেছে। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের হাইকমিশনারও আশ্বস্ত করেছেন, ফলে আমরা পূর্বনির্ধারিত সময়মতোই ভ্যাকসিন পাব।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত সরকার তাদের দেশে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে। তবে ভারতে ভ্যাকসিন প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। এসব কারণে ওদের দেশেও ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরো কিছুটা সময় লাগবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন আনা সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সিএমএইচডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিনসংশ্লিষ্ট অন্য শাখাগুলো প্রস্তুত আছে। এখন চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী ভূমিকা অব্যাহত রাখছে। ভারত সরকারও চুক্তি মোতাবেক সময়মতো ভ্যাকসিন পাঠাবে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।’

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ভারত সরকার কেবল কমার্শিয়াল কর্মকাণ্ডের ওপর ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে না। কারণ আমারা জি টু জি (সরকারের সঙ্গে সরকার চুক্তি) ভিত্তিতে টিকা আনছি, এটি কমার্শিয়াল রপ্তানির আওতায় পড়বে না।’

এদিকে ভারত শুরু থেকেই বলে আসছে, তাদের দেশের উৎপাদিত টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতেও বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার অঙ্গীকার স্থান পেয়েছে। উল্লেখ্য, যৌথ বিবৃতি দুই দেশের দলিল হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের জনগণ প্রথম থেকেই টিকা পাবে : শ্রিংলা

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গতকাল বাংলাদেশি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। ভারতে উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশ প্রথম থেকেই পাবে। তিনি বলেন, ‘সেরামপ্রধানের যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তা আমাদের নজরে এসেছে। এতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ ভারত বরাবরই প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।’

শ্রিংলা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জি টু জি ব্যবস্থায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য টিকা পাঠানো হবে। এটি বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনার আওতায় হবে না। পরে ব্যাপকভিত্তিক উৎপাদন নিশ্চিত করা গেলে বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় সরবরাহ করা হবে। তবে প্রতিবেশী বাংলাদেশের জনগণ প্রথম থেকেই টিকা পাবে।’

টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই : মোমেন

গতকাল বিকেলে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাবে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে এর আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলাপ হয়েছে, বাংলাদেশ প্রথম ভ্যাকসিন পাবে। সুতরাং এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, সেরাম কম্পানির সিইও যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ব্যক্তিগত। সেটা ভারত সরকারের কোনো পলিসি নয়।’

ভ্যাকসিন কবে নাগাদ আসতে পারে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন এই মাসের শেষে। অতএব আশা করছি এই মাসের শেষে।’ তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আনার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায় থেকে কথা হয়েছে, তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

ভারত থেকে ভ্যাকসিন আনার চুক্তি ‘জি টু জি’ ছিল কি না জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই।’

উদ্বেগের কোনো কারণ নেই : স্বাস্থ্যসচিব

কালের কণ্ঠসহ আরো কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান গতকাল তাঁর দপ্তরেও কথা বলেছেন। এ সময় তাঁর কাছে টিকা নিয়ে ‘জি টু জি’ চুক্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তখন তিনি বলেন, ‘কাগজে-কলমে হয়তো শুরুতে সরাসরি জি টু জি চুক্তি হয়নি, হয়েছে আমাদের সরকারের সঙ্গে বেক্সিমকো ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বরাবরই ভারতীয় সরকার সম্পৃক্ত ছিল ও রয়েছে। চুক্তির দিন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কয়েক দিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক কথা বলেছেন। তখন টিকা আমদানি ও রপ্তানি বিষয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলাপ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশ সবার আগে টিকা পাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ফলে দুই দেশের সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় যখন এই টিকার বিষয়ে যুক্ত আছেন, ফলে এটা আর জি টু জির বাইরে থাকে না।’

সচিব বলেন, ‘আজ আমি বৈঠকের মধ্যেই ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। যেভাবে টিকা বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে, সেভাবেই সব কিছু চলবে। ভারতে কোনো নিষেধাজ্ঞার কিছু হলেও তা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ফলে আমাদের জায়গা থেকে বলব, আমরা যে অবস্থায় ছিলাম সেই অবস্থাতেই আছি। আমাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’

সচিব বলেন, ‘আগেই আমরা বলেছি, অনুমোদনের পর থেকে তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে টিকা আসতে। সেটা ধরলেও জানুয়ারির মধ্যেই থাকছে। তার পরও আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেও কথাও বলেছি। এখন পর্যন্ত যে পর্যায়ে আছি, তাতে এর ব্যত্যয় হবে বলে আশা করি না।’

চুক্তিতে কী আছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘অনুমোদনের এক মাসের মধ্যে সেরাম থেকে বাংলাদেশে টিকা পাঠাতে হবে।’

টিকা আনতে বাধা নেই : পাপন

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি গুলশানে তাঁর বাসায় এক ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভারতে টিকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আমিও একটি খবর শুনেছি। কিন্তু আমি এই খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নই। আমরা ওই খবর পাওয়ার পর সেরামের সঙ্গে কথা বলেছি। সে অনুসারে সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। ওই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়। কারণ এটি শুধু দুটি প্রাইভেট কম্পানির চুক্তি নয়, এটির সঙ্গে সরকারও যুক্ত। এই চুক্তিটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। চুক্তি অনুসারে ওই দেশে টিকা অনুমোদনের এক মাসের মধ্যেই আমাদেরকে টিকা পাঠাবে—এটাই এখন পর্যন্ত ঠিক আছে।’

এমপি পাপন বলেন, ‘আমরা এত দিন ধরে ব্যবসা করছি, না বুঝে-শুনে আমরা কিছু করিনি। আমাদের সঙ্গে যখনই যাদের চুক্তি হয়েছে তার কোনোটিরই কোনো দিন ব্যত্যয় ঘটেনি, এটিও ঘটবে না বলে আশা করছি।’

টিকা আমদানির অনুমতি ঔষধ প্রশাসনের

মন্ত্রণালয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে দেশে টিকা অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, টিকা অনুমোদনের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্দিষ্ট দুটি কমিটির সভার ডাকা হবে। বেক্সিমকোর আবেদন ওই কমিটি পর্যালোচনা করবে। সন্ধ্যায় টিকা আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন দেশে আনার ক্ষেত্রে জরুরি বিবেচনায় অনাপত্তিপত্র দিয়েছি। এর মাধ্যমে দেশে অক্সফোর্ডের টিকা আনতে কোনো বাধা নেই। আমার এখতিয়ার অনুযায়ী আজ (গতকাল) বিকেলে প্রশাসনের নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বেক্সিমকোর আবেদন প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করে এই অনাপত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত দেবে।’

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর