1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের এস কে সুর চৌধুরীসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে

ডেইলি খবর ডেস্ক: সততার সুরে প্রতিদিনই অনেক সৎ পরামর্শ দিতেন সুর চৌধুরী। এখন জনগনের আমানত খেয়ানতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ ২৫ জনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। জানা গেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর কানাডায় পালিয়ে থাকা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পি কে (প্রশান্তকুমার)হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং তারা যাতে বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের পাঁচ আমানতকারীর করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন সাবেক সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এনআই খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী, কাকাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে ২৫ জনকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। একই সঙ্গে পাঁচ আমানতকারীকে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে ড.নাশিদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক মো. শওকতুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান, গৃহিণী সামিয়া বিনতে মাহবুব ও মো:তরিকুল ইসলাম। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার তদন্ত ও ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে ২০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রাখে হাইকোর্ট। ভিডিও কনফারেন্সে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘২৫ জনের বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাদের তদন্তের প্রয়োজনে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। আর পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিসের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফ্রান্সে ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে পাঠানোর বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করেছি।’
গত ৩০ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এক আদেশে পি কে হালদারসহ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ও দ-িত আসামির বক্তব্য, সাক্ষাৎকার গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

গত বছর ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক এমন প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তাকে গ্রেপ্তারে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চায়। পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। এক বিনিয়োগকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ১৯ জানুয়ারি পি কে হালদার ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে ইন্টারপোলে চিঠি : বিদেশে পলাতক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে পুলিশের এনসিবি শাখা। এনসিবির সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মহিবুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাতে ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করার সুপারিশ করা হয়েছে।প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। আত্মসাৎ করা অর্থের মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকা গত ১০ আগস্ট দুদকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৯ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবে এসব অর্থের লেনদেন হয়েছে।

জানা গেছে, অবৈধ ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদের বেশির ভাগই বিদেশে, বিশেষ করে কানাডায় পাচার করেছেন পিকে হালদার। বর্তমানে নিজেও বিদেশে অবস্থান করছেন। তবে ঢাকায় তার নামে একাধিক বাড়ি,প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে এবং নামে-বেনামে একাধিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে,তাদের মধ্যে পিকে হালদার একজন। লুটের টাকায় বান্ধবী পুষতে কোন অসুবিধা হয়নি পিকে হালদারের।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর