মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

মডেলদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নাম জড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র’

প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, আগস্ট ১০, ২০২১

মডেলদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নাম জড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র’

ডেইলি খবর ডেস্ক: পুলিশের হেফাজতে থাকা গ্রেপ্তারকৃত মডেলদের সঙ্গে যেসব ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে তাদের তালিকার কথা বলে যারা বাণিজ্যে নেমেছে সেই চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম। তবে পরীমণির বিষয়ে কোনো ব্যবসায়ীর তালিকা হচ্ছে না বা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে না বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে সাকলায়েনের অনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে পুলিশ বাহিনী বিব্রত জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন,পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েন পরীমণির কোনো মামলা তদারকির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সঙ্গত কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাহিনীর শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা ভঙ্গের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন,পরীমণি গ্রেফতারের পর বিভিন্ন খবরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। পরীমণি ইস্যুতে কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক বা প্রতারণা নিয়ে কোনো পক্ষেরই অভিযোগ নেই। তাই কোনো তালিকা করারও সুযোগ নেই।তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বাসায় যাতায়াত ছিল এমন অভিযোগে ও কথিত মডেলদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নাম জড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। এ চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকায় তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। এ পর্যন্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। তারা ফোন করে আতঙ্কে থাকার কথা জানিয়েছেন। এমনকি একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদা না দিলে গণমাধ্যমে তার নাম প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, চক্রটি কথিত ভিডিওর কথা বলে বিশিষ্টজনদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ এ ধরনের কোনো তালিকা করেনি। এমন তালিকার কথা বলে যারা বাণিজ্যে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।শফিকুল ইসলাম বলেন, কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকা তো বেআইনি নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা না হয়। মডেল-অভিনেত্রী গ্রেফতারের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা চাই না করোনাকালে এমন আতঙ্ক ছড়াক,বিনা কারণে কারও সম্মানহানি ঘটুক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সেজন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।  
Link copied!