জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি- এমন ড্রোন উড়ানো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার মুক্ত আকাশে। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও নির্মাণে অবৈধভাবে উড়ানো হচ্ছে এসব মনুষ্যবিহীন উড়োযান। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ড্রোন আমদানি, সংরক্ষণ এবং ব্যবহার সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও জেলার বেশ কিছু উঠতি বয়সী যুবক তা না মেনে ড্রোন মুক্ত আকাশে উড়াচ্ছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছদিন ধরে মাথাভাঙ্গা সেতু, শহরের শহীদ হাসান চত্বর, বিএডিসি ফার্মসহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানে উঠতি বয়সের যুবকরা একসাথে হয়ে ড্রোন উড়াচ্ছে আকাশে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এসব যুবক উচ্চ দামে ড্রোন কিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের ভিডিও বানাচ্ছে। এসব উঠতি বয়সী যুবকরা জানে না, ড্রোন আকাশে উড়ানোর ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু বিধি নিষেধ।
সিভিল এভিয়েশন সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ আকাশসীমায় ড্রোন উড়াতে হলে দেড় মাস আগে অনুমতি প্রয়োজন। নির্দেশনা না মেনে কেউ আকাশে ড্রোন উড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবে মুক্ত আকাশে ড্রোন উড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে। কেউ যদি সেই নীতিমালা ভঙ্গ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, ড্রোন যে কেউ হচ্ছে করলেই উড়াতে পারবেন না। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার মুক্ত আকাশে ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি।
এদিকে, দেশের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বিনা অনুমতিতে দেশের আকাশে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করে সিভিল এভিয়েশন।