1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০০ অপরাহ্ন

রাজধানীতে লকডাউন জোরদার হচ্ছে না

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাংলাদেশে সাতজন মারা গেছে এবং ৩১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এরপরও রাজধানীতে দৃশ্যত লকডাউন জোরদার হচ্ছে না! করোনা সংক্রামণ রোধে ঘরে থাকার নির্দেশনা অনেকেই মানছে না। মূলত রাজধানীতে নাগরিকরা লকডাউন অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। তারা ঘরে অবস্থান না করে প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীতে অনেকেই পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। আবার অনেকেই বাজার বা আড্ডার দেওয়ার জন্য বের হচ্ছে। করোনা সংক্রামণ রোধে সরকার রাজধানীসহ সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মানুষকে ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন জোরদার না হওয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হিসাবে, ঢাকার ভেতরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে—এমন রোগীদের বেশির ভাগই মোহাম্মদপুরের। এরপরই আছে ওয়ারী। ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে আইইডিসিআর তাদের ওয়েবসাইটে করোনা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়।

আইইডিসিআর তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিসংখ্যক করোনা রোগী ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা শহরে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৮৪৩ জন। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ৭৬৩। ঢাকার পর এই বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জে। এরপর গাজীপুর ও নরসিংদীতে। এই তিন জেলায় শনাক্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩০৯, ১৬১ ও ৯৩ জন।

ঢাকায় শীর্ষে মোহাম্মদপুর: ঢাকায় শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে এখন মোহাম্মদপুর শীর্ষে। এখানে ৩৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর বাইরে ওয়ারীতে ২৮ জন, মিটফোর্ড এলাকায় ২৬ জন, যাত্রাবাড়ীতে ২৫ জন, লালবাগ ও উত্তরায় ২৩ জন করে, ধানমন্ডিতে ২১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে ঢাকায় সংক্রমণের সূত্রপাত হয়েছিল যে দুটি এলাকায়, সেই টোলারবাগ ও বাসাবোতে শনিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল স্থিতিশীল। টোলারবাগে গতকাল পর্যন্ত ১৯ জন ও বাসাবোতে ১৭ জন শনাক্ত হন।

এছাড়া ১০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, ঢাকায় এমন আরও ১৩টি জায়গা আছে। এর মধ্যে বংশাল, গেন্ডারিয়া ও হাজারীবাগে শনাক্তের সংখ্যা ১৬ জন করে; গুলশানে ১৪ জন; আজিমপুর, রাজারবাগ ও মিরপুর-১১ নম্বরে ১৩ জন করে, মহাখালীতে ১২ জন, বাবুবাজার, মিরপুর-১২ ও মগবাজারে ১১ জন করে, গ্রিনরোড ও শাঁখারীবাজারে ১০ জন করে।

করোনার বিষয়ে চিকিৎসকদের ভাষ্য, করোনা রোধে সচেতনতা এবং সতর্ক হওয়া জরুরি। সবারই হোম কোয়ারেন্টাইন বা ঘরে পর্যবেক্ষণে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার ঠিক উল্টো হচ্ছে। যদি এই ভাবে চলতে থাকে তাহলে সামনে খুবই খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।

দেখা গেছে, করোনা সংক্রামণের ঝুঁকির মধ্যে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় মানুষ প্রতিনিয়তই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। সন্ধ্যায় পর রাজধানীতে কিছুটা জনশূন্য থাকলেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লা-অলিগলি এবং বাজারঘাটে মানুষের অনেক ভীড় থাকে।

রাজধানী পান্থপথে রিক্সা চালক সুলতানের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সুলতান বলেন, পেটের ক্ষুধার রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হয়েছি। কাজ না করলে খাবো কি? ত্রাণ তো পাই না। তবে অনেকেই কোন কোন দিন দুপুর কিংবা রাতে ভাত দিয়ে যান। কিন্তু সেই একবেলা খেয়ে কি আর বেঁচে থাকা যায়? তাই বাধ্য হয়েই রিক্সা নিয়ে বাইরে বের হই।

অন্যদিকে ঘরে থাকা মানুষরা চা-সিগারেটে এবং বাজারের জন্য বাইরে বের হচ্ছে। রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় পূর্বের মতো বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রীতিমতো আড্ডা হচ্ছে এবং ফাঁকা রাস্তায় শিশুদের ক্রিকেট খেলতেও দেখা গেছে। কাঁচাবাজারে আগের মতো ক্রেতাদেরকে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজন মারা গেছে। ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯১ জনে। আর করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩১২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪৫৬ জনে।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর