ডেইলি খবর ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলা তদন্তে ৬ দেশের ৫৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি। তারাসহ অভিযোগপত্রে আসামি হচ্ছে আরও ৮ প্রতিষ্ঠান। গোয়েন্দারা বলছেন,তদন্ত শেষ পর্যায়ে থাকলেও অভিযোগপত্র দিতে অপেক্ষা করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে থাকা অর্থ ফেরত মামলার নিষ্পত্তির জন্য।বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে চুরির ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে মতিঝিল থানায় মামলা হয় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ।পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে এতে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করে তারা।বাংলাদেশ,ফিলিপাইন,চীন,শ্রীলঙ্কা,জাপানের নানা সংস্থার কাছে চাওয়া হয় সন্দেহভাজনদের তথ্য। সহায়তা নেয়া হয় ইন্টারপোলেরও। প্রায় ৫ বছরের তদন্তে রিজার্ভ চুরিতে ৫৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৭,ফিলিপাইনের ৩০,শ্রীলঙ্কার ৭,চীনের ৩, ভারতের ৩,জাপানের এক ও সুইফট কর্মকর্তা ৫ জন। সম্পৃক্ততা মিলেছে ফিলিপাইনের ৭ ও শ্রীলঙ্কার একটি প্রতিষ্ঠানের। সিআইডি প্রধান বলছেন, মালি লন্ডারিং আইনের মামলা তদন্তে সময় বেশি লাগে। এ মামলায় দেশের পাশাপাশি ৬-৭টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে নানা তথ্য-উপাত্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে,রিজার্ভ চুরিতে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে চুরি হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১০ কোটি টাকা।