1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থ বেশি শেষের এক মাসেই

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০
  • ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসাবে তিনজন শনাক্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেই হিসাবে গতকাল মঙ্গলবার দেশে করোনা সংক্রমণের চার মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শেষের এক মাসে শনাক্ত ও মৃত্যু আগের তিন মাসের অর্ধেকের বেশি। আর সুস্থদের ৮০ শতাংশ এ মাসেই হয়েছে। অর্থাৎ তিনটি সূচকেই আগের তিন মাসের যোগফলকে ছাড়িয়ে গেছে শেষের এক মাসের সংখ্যা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ৮ মার্চ শনাক্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হলেও প্রকৃতপক্ষে আগের দিন তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সে হিসাবে দেশে করোনা শনাক্তের চার মাস পার হয়েছে। এই চার মাসে করোনাভাইরাস শনাক্তে মোট পরীক্ষা হয়েছে আট লাখ ৭২ হাজার ৪৮০টি নমুনা। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে হয় চার লাখ ৮৮ হাজার ৬২৮। শেষের এক মাসে হয় তিন লাখ ৮৪ হাজার ৮৫২। ঠিক এর আগের মাসেই অর্থাৎ তৃতীয় মাসে প্রায় সমসংখ্যক পরীক্ষাই হয়েছিল। অন্যদিকে চার মাসে মোট শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫। যাদের ৫৬ শতাংশ বা ৯৩ হাজার ৭৭৪ জনই শনাক্ত হয়েছে শেষের এক মাসে। প্রথম তিন মাসে শনাক্ত হয় বাকি ৪৪ শতাংশ। শনাক্তকৃতদের মধ্যে চার মাসে মোট সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ১০২ জন। যাদের মধ্যে ৬২ হাজার ৪৬৪ জন বা ৮০ শতাংশই সুস্থ হয়েছে শেষের এক মাসে। অন্যদিকে চার মাসে মৃত দুই হাজার ১৫১ জনের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ বা এক হাজার ১০৭ জনের মৃত্যু হয় শেষের এক মাসে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২১ জানুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে নভেল করোনাভাইরাস (তখনো কভিড-১৯ নামকরণ হয়নি) শনাক্তকরণে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করে। ৭ মার্চ প্রথম শনাক্ত হয় তিনজন। তখন পর্যন্ত মৃত্যু বা সুস্থ ছিল না। এক মাস পরে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষা সংখ্যা বেড়ে হয় চার হাজার ১১, করোনা পজিটিভ হিসাবে শনাক্ত হয় ১২৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয় ৩৩ জন এবং মারা যায় ১২ জন। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ৩.৬৫ শতাংশ। আর শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুহার ছিল ৯.৭৫ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ছিল ২৬.৮২ শতাংশ। আরো এক মাস পরে ৭ মে পর্যন্ত পরীক্ষা হয় ৯৯ হাজার ৬৪৬টি নমুনা। ওই দিন পর্যন্ত শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৭১৯ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয় এক হাজার ৭৮০ জন এবং মারা যায় ১৮৬ জন। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ওই দিন পর্যন্ত ১১.৭৬ শতাংশ। শনাক্তের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার আগের মাসের তুলনায় অনেকটা কমে হয় ১৫.১৮ শতাংশ। আর শনাক্তের তুলনায় মৃত্যুহার আগের মাসের ৯.৭৫ শতাংশ থেকে এক লাফে নেমে যায় ১.৫৮ শতাংশে। ৭ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ তৃতীয় মাসে এসে পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ায় তিন লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি। শনাক্ত হয় ৬৩ হাজার ২৬ জন, সুস্থ হয় ১৩ হাজার ৩২৫ জন এবং মারা যায় ৮৪৬ জন। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার তুলনায় শনাক্ত হার বেড়ে ওঠে ১৬.৩৭ শতাংশে। শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার বেড়ে ২১.১৪ শতাংশে ওঠে। অন্যদিকে মৃত্যুহার কমে দাঁড়ায় ১.৩৪ শতাংশে। চতুর্থ মাস অর্থাৎ ৭ জুলাই (গতকাল) পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয় আট লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০, শনাক্ত হয় মোট এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন, সুস্থ হয় মোট ৭৮ হাজার ১০২ জন এবং মারা যায় দুই হাজার ১৫১ জন। এ হিসাবে গতকাল পর্যন্ত মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার দাঁড়ায় ১৯.৩২ শতাংশ, শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার বেড়ে হয় ৪৬.৩১ শতাংশ। আর শেষের মাসে মৃত্যুহার কমে হয় ১.২৭ শতাংশ। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর