উত্তাল পদ্মা আর প্রচুর বাতাসের মধ্যে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে চলছে ফেরি। শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়ায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে। ভোরের আলো ফুটতেই ঘাটে আসতে শুরু করেছে লোকজন। লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিই এখন পদ্মা পাড়ি দেবার একমাত্র নৌযান। তাই গাদাগাদি করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি, চরম দুর্ভোগ আর অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করেই কর্মস্থলে যাত্রা করেছেন তারা।
আগামীকাল রোববার খুলে যাবে অফিস। তাই শেষ সময়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সকাল থেকে ১৫টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। ফেরিগুলো হরদম পার করছে গাড়ি। এদিকে সকাল থেকে পদ্মা কিছুটা উত্তাল। প্রচুর বাতাস রয়েছে। আজ দক্ষিবঙ্গমুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। কাঠালবাড়ি থেকে ফেরিগুলো কানান কানায় পূর্ণ করে হাজার হাজার লোক শিমুলিয়ায় আসছে। সেখানে থেকে আবারো বিভিন্ন যানবাহনে ছুটছে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
এদিকে এখনও সচল হয়নি গণপরিবহন। যাত্রীদের অবর্ণনীয় কষ্ট করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তারা পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়ায় এসে যানবাহন না পেয়ে পড়ছেন বিপাকে। মাথায় ব্যাগসহ ছোট ছেলেমেয়ে কোলে করে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া গাদাগাদি করে ৪-৫ গুণ বেশি ভাড়ায় সিএনজি, অটো, মোটরসাইকেল, পিকাপ, ট্রাক, ছোটগাড়ি কিংবা মাইক্রোবাস ভাড়া করে গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন যাত্রীরা। এর বাইরে বড় ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এরপরও আবার বিপত্তি ঘটায় ট্রাফিক পুলিশ। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া ভাড়ার গাড়ি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা ভাড়ার গাড়িগুলো আটকে দেয়। এতে যাত্রীরা ভয়াবহ যানবাহন সংকটে পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন বলেন, ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যান পার করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। যেন কার আগে কে ফেরিতে উঠবে এই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য সিরাজুল কবির বলেন, স্পিডবোট কিংবা ট্রলার পদ্মায় চলছে না। আমরা সর্তক পাহারায় আছি। সার্বক্ষনিক নদীতে অভিযান চলছে। শনিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে।