1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

সবার চোখ গাজীপুরের ভোটে

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনে। এর মধ্যে প্রথম দফায় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি নির্বাচন। দেশের সবচেয়ে বড় এবং ঢাকার পাশে গুরুত্বপূর্ণ এই সিটির ভোট অন্যান্য নগরীর চেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে। কারণ যে পাঁচটি সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা এর মধ্যে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন গাজীপুরে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভোট বর্জন করায় এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনেকটা আমেজ হারিয়েছে। কয়েকটি সিটিতে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর বিজয়ী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে গাজীপুরে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন ভোটের লড়াইয়ে থাকায় জমে উঠেছে এই নির্বাচন।

জাতীয় নির্বাচনের আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সিটি নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়ে আস্থা অর্জন করতে চায়। অন্যদিকে অন্তত গাজীপুরে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে শাসক দল। দলীয় টিকিটে গতবার নির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিদ্রোহী হয়ে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন। তবে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় মাকে নিয়ে তিনি লড়ে যাচ্ছেন। বাহ্যত দৃশ্যপটে মা জায়েদা খাতুন থাকলেও সবাই মনে করছেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা জাহাঙ্গীর আলমই করছেন। ফলে ক্ষমতাসীন দলের নিজেদের মধ্যেই লড়াইটা হচ্ছে। এজন্য পাঁচ সিটির মধ্যে গাজীপুরের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেশবাসীর। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।

জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা দাবি করছেন, প্রচারে নেমে তারা কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছেন। এজন্য তারা সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়া গাজীপুরের ভোট পর্যবেক্ষণ করতে বিদেশি কূটনীতিকদের চিঠি দিয়েছেন জায়েদা খাতুন। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে তারা নির্বাচন কমিশনের প্রতিও দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ মে) মধ্যরাতে শেষ হয়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৪৮০ কেন্দ্রের সব কটিতেই ইভিএমে ভোট হবে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (২৪ মে) কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাবে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম শঙ্কা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এই সিটির ভোট দেখভালের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি জানান, প্রার্থীদের নানা অভিযোগ থাকলেও কোনো ধরনের শঙ্কা করা হচ্ছে না। বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করা হলেই ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজীপুরের ভোটে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে গাইবান্ধার চেয়েও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গাইবান্ধা উপনির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে গাজীপুর সিটির ভোটের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে মো. আলমগীর জানান, শিল্প এলাকায় নানা ধরনের মানুষের বসবাস। সেখানে অপরাধ প্রবণতার কথা মাথায় রেখে এবার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকছে।

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনে সবাই জিততে চান, সেভাবে তারা প্রচারণা চালান ও বক্তব্য দেন। কিন্তু ইসির কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা করা।আমাদের যত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেগুলো আমরা কমপ্লিট করেছি।

এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে লড়ছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন, ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম লড়ছেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ২০১৩ সালে প্রথমবার লক্ষাধিক ভোটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেন বিএনপি সমর্থিত এম এ মান্নান। তবে ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাজে বিপুল ভোটে পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। যদিও সেই ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও দলীয় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে বিএনপি।

এবার গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয়বারের নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রথমবার পরাজিত আজমত উল্লা খান লড়ছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন নিজ দলের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর আলম, যিনি মাকে সামনে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুরের জনতা শেষ পর্যন্ত তাদের নগরপিতা হিসেবে কাকে বেছে নেন সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল রাত পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর