আহ্বানটা প্রথমে জানিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিষিদ্ধ থাকার কারণে করোনা দূর্গতদের জন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কিছু করতে পারছেন না তিনি। তবে ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’ এর মাধ্যমে যথাসাধ্য জনসেবা করে যাচ্ছেন তিনি। একদিন আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে সতীর্থদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, নিজেদের ইতিহাস গড়া স্মারক নিলামে তুলে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে করোনার তহবিল গড়ার জন্য। তার আহবানে প্রথম সাড়া দিলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকুর রহিম।
সময়ের পরিক্রমায় মানুষ মরে যায়, কিন্তু পড়ে থাকে তার কীর্তি, তার স্মৃতিচিহ্ণ। সবাই নিজেদের স্মৃতিচিহ্ণগুলো খুব যত্ন করে রেখে দেন। মুশফিকুর রহিমও তাই। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের স্মৃতিচিহ্নগুলো তার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। খুব যত্ন করে সেগুলো তিনি সংরক্ষণ করে থাকেন। তার মাঝে কিছু স্মৃতিচিহ্ণ আছে, যেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এবার করোনা দুর্গতদের জন্য একটি মূল্যবান সামগ্রী নিলামে তুলবেন মুশি।
২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা পোশাকে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টেস্ট বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক। কারণ ওই ম্যাচেই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’। এরপর আরও দুটি ডাবল মারলেও মুশির প্রথম ২০০ রান যে ব্যাটটি দিয়ে এসেছিল, সেটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। ‘প্রথম’ একজনই হয়। টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান আর কেউ হতে পারবে না। একই কারণে দেশের ক্রিকেটের ইতিহাস জড়িয়ে আছে ওই ব্যাটে।
এবার করোনা দূর্গতদের জন্য সেই বিশেষ ব্যাটটি নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম এই সদস্য। সিদ্ধান্তটি নিতে একটু কষ্ট হয়েছে বটে। কষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুশফিক ভেবেছেন, তার এই ব্যাটের সৌজন্যে যদি গরীব মানুষের উপকার হয়, সেটাই সবচেয়ে আনন্দের। খুব দ্রুতই কোনো অনলাইন মাধ্যমে তার সেই ব্যাটটি নিলামে তোলা হবে। মুশফিকের আশা, দেশের ক্রিকেটপ্রেমী বিত্তবানেরা ব্যাটটি কেনার জন্য এগিয়ে আসবেন। কবে, কোথায় ব্যাটটি নিলামে উঠবে তা দ্রুতই জানানো হবে।