সুদানের দারফুর অঞ্চলে মাসতেরি শহরে সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, প্রায় পাঁচশ সশস্ত্র ব্যক্তি নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। লুটপাটের পর বাজারের একাংশসহ বহু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহ ধরে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটছে। বেশ কিছু গ্রাম সশস্ত্র ব্যক্তিদের কবলে পড়েছে। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মানুষজন উদ্বাস্তু হচ্ছে। চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। বহু মানুষ জীবিকা হারিয়ে বেকার হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে ওই জায়গায় আরো মানবিক সাহায্য দরকার।
হামলার পর প্রায় পাঁচশ জন স্থানীয় মানুষ বাড়তি নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ জানায়। তারা বলেন, যতক্ষণ তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া না হচ্ছে, ততক্ষণ তারা মরদেহ দাফন করবেন না।
গত সপ্তাহে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে শিশুসহ ২০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রমণকারীরা চাষিদের ওপর আক্রমণ করেছিল। সুদানের প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছেন, সরকার এই চাষের সময় কৃষকদের বাঁচাতে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করবে। দারফুরের আক্রমণের পেছনেও একই কারণ ও গোষ্ঠীর হাত আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বেশ কয়েক বছর পর কৃষকদের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। আফ্রিকার গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যাযাবর আরব গোষ্ঠী জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে।
সুদানে ২০১৯ সালে ব্যাপক প্রতিবাদের পর ওমর-আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হন। এখন সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে। তারা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি আনার চেষ্টা করছে। এদিকে গণহত্যা ও অমানবিকতার অভিযোগ রয়েছে বশিরের বিরুদ্ধে।
সূত্র : রয়টার্স, স্টার ট্রিবিউন, ডয়চে ভেলে