1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

সুদ পরিশোধে সর্বোচ্চ ব্যয়

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৪২৭ বার পড়া হয়েছে

সরকারি ব্যয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধে। করোনা মোকাবিলায় বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে সরকার। ফলে সরকার এখন পর্যন্ত যে টাকা ব্যয় করছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুনতে হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে। অর্থবছরের (২০২০-২১) জুলাই থেকে নভেম্বর এ ৫ মাসে সরকারের পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণের সুদ পরিশোধে গেছে ২৩ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।

ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও বিদেশি সংস্থা থেকে ঋণ করায় সুদ পরিশোধে এসব অর্থ যাচ্ছে। ব্যয়ের বাকি ৬৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা গেছে অন্য ১৩টি খাতে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

জানতে চাইলে বিআইডিএসের সাবেক ডিজি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ এমকে মুজেরি যুগান্তরকে জানান, দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি, নতুন করে আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাবে। এতে ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে ঋণের ওপর আরও নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এছাড়া বিদেশি ঋণ গ্রহণ কঠিন বিধায় অভ্যন্তরীণ ঋণের দিকে যাচ্ছে সরকার। চাইলে এখন সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি সঞ্চয় পত্র থেকে ঋণ গ্রহণে বেশি সুদ দিতে হবে। তবে ঋণ গ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। এজন্য এখন থেকে এ পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যাবে বিশেষ করে কম ব্যয়ের পরিকল্পনা করা দরকার।

২০২০-২১ অর্থবছরের সরকারের মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে ব্যয় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। তবে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা ব্যয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখানে দেখা গেছে, এ সময়ে ১৪টি খাতে ব্যয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ (ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য থেকে নেয়া) ঋণের সুদ পরিশোধে ২২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকারি অর্থ ব্যয়ের ২৭ দশমিক ১৩ শতাংশই চলে গেছে এ খাতে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এটি মোট ব্যয়ের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পাশাপাশি শিক্ষায় ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ১৬ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা, মোট ব্যয়ের ১৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া সাধারণ পাবলিক সার্ভিস খাতে ১৫ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা, ডিফেন্সে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা এবং পাবলিক অর্ডার অ্যান্ড সেফটি খাতে ব্যয় হয় ৭ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা।

করোনার কারণে এ বছর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নানাভাবে ব্যয় করা হয়েছে। এ ৫ মাসে এ খাতে ব্যয় করা হয় ৩ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া কৃষি খাতে ২ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা, পরিবহণ খাতে ১ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার খাতে ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। আরও ব্যয় করা হয় বাসস্থান খাতে ২৩৭ কোটি টাকা, সংস্কৃতি ও ধর্মী খাতে ৭৩২ কোটি টাকা, জ্বালানি ও তেল খাতে ২৯ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে ৪০৭ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি সরকারের ঋণ ও নগদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সরকারের ঋণ গ্রহণের বিষয়টি আলোচনা হয়। বলা হয়েছে ঋণ গ্রহণ বেশি করায় এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে অর্থনীতিতে। কারণ যেসব উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে সেখানে সুদের হার অনেক বেশি।

জানা গেছে, করোনাসহ স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ব্যয় মেটাতে জুলাই-ডিসেম্বর এ ৬ মাসে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয় ২৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। একইভাবে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়া হয় ৫৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি বাজেটে এ খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রেজারি বন্ড থেকে ২৫ হাজার ২১৮ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়। এছাড়া গত ১ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ১৫৬ কোটি ডলার ঋণচুক্তি সই করেছে সরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে বিদেশি সহায়তা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা যা, গত অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর