করোনা সংকটে যেসব পেশাজীবী মারাত্মকভাবে জীবন-জীবিকা নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন তাদের অন্যতম হলো সেলুন ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণ হওয়ার ভয়ে লোকজন এখন আর সহজে চুল-দাড়ি কাটতে কোনো সেলুনে যাচ্ছেন না। আর এতেই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সেলুনের মালিক এবং কর্মচারীরা। আগে যেখানে প্রতিদিন ৩০/৪০ জন লোক আসতেন, সেখানে এখন এ সংখ্যা ৪/৫ জন। একাধিক সেলুন মালিক বলেন, করোনা সংকট পুরোপুরি চলে না গেলে সেলুনের স্বাভাবিক অবস্থা আর ফিরবে না। তারা অনেকেই তাদের এমন সংকটকালে সরকারের কাছে আর্থিক বা অন্য কোনো সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন।
নগরীর মদন বাবু রোডের ফোর লাভ সেলুনের অনিল বিশ্বাস বলেন, এমন খারাপ অবস্থা হবে তা তারা জীবনেও ভাবেননি। তিনি বলেন, ২ মাস লকডাউনের সময় দোকান পুরোপুরি বন্ধ ছিল। যখন খোলা হলো তখন আর ভয়ে লোকজন আসেন না। এখন সারাদিন কাস্টমারের আশায় দোকান খুলে বসে থাকেন। হাতেগোনা পুরনো ৪/৫ জন কাস্টমার আসেন। সেভাবে কোনো সহায়তাও পাননি বলে জানান অনিল বিশ্বাস। তবে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে সরকারের কাছ থেকে ২০ কেজি চাল পেয়েছেন।
আমলাপাড়া এলাকার জসীম বলেন, তার দোকানের নাম থ্রি আর সেলুন। তিনিও খুব কষ্টে আছেন। দোকানে কাস্টমার নাই। দুই বেলা ডাল-ভাত যোগাড় করাই কঠিন হয়ে গেছে। গাঙিনার পাড় এলাকার ডিসকো সেলুনের মো. রনি বলেন, এক সময়ে দোকানে অনেক কাস্টমার আসত। এখন সারা দিন গড়িয়ে গেলেও তেমন কেউ আসে না। দোকান খুলে কাস্টমারের আশায় বসে থাকেন। আয় না থাকায় সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে বলে জানান রনি।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি মাহবুব বিন ছাইফ বলেন, করোনাসংকটে যেসব পেশার মানুষ বেশি বিপদে আছেন এদের মাঝে সেলুনের লোকজন অন্যতম। তিনি বলেন, তালিকা করে এদের যতটুকু সম্ভব সরকারি-বেসরকারি সহায়তা করা প্রয়োজন।