1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্যের চার কর্তার দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দারা

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০
  • ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেয়েও সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার (জেকেজি)। টাকার লোভে প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরী ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এর দায় স্বীকারও করেছেন। এই দুজন একই সঙ্গে বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চার শীর্ষ কর্মকর্তা এই দুর্নীতিতে শুরু থেকেই সহযোগিতা করেছেন। এদিকে ডা. সাবরিনাকে দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন গতকাল বলেন, তদন্তে ডা. সাবরিনা ও আরিফের অপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। মুখোমুখি জিজ্ঞাবাদে তাঁরা একে অপরকে দোষারোপ করলেও তদন্তে এই অপকর্মে উভয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।

এদিকে ডা. সাবরিনার দুর্নীতি ও তদন্তের নথিপত্র চেয়ে গতকাল চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোছা. সেলিনা আখতার মনির সই করা চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) মহাব্যবস্থাপক, জাতীয় হৃদেরাগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১০-এর কর কমিশনার এবং যৌথ মূলধনী কম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) নিবন্ধক বরাবর চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে।

তেজগাঁও থানার প্রতারণার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল ডা. সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ডিবি)। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অন্যদিকে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদক সূত্র জানায়, বিআইএফইউয়ে পাঠানো চিঠিতে সাবরিনা চৌধুরী এবং তাঁর স্বামী আরিফ চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও ব্যাবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবের তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে তাঁদের নামে ঋণ গ্রহণের আবেদন, মঞ্জুরিপত্র, বন্ধকি দলিল, বন্ধকি সম্পত্তির টাইটেল ডিড ইত্যাদি তথ্য-উপাত্ত চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয় হৃদেরাগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো চিঠিতে ডা. সাবরিনার পেশাগত সব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাবরিনা ও আরিফের মালিকানাধীন জেকেজি হেলথ কেয়ারের নিবন্ধনপত্র, কম্পানির মেমোরেন্ডাম ও অংশীদারির চুক্তিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। এনবিআরে দেওয়া চিঠিতে আরিফ ও সাবরিনার আয়-ব্যয়ের হিসাব পেতে টিআইএন সার্টিফিকেটসহ আয়কর রিটার্নের সত্যায়িত কপি চেয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

গত ২৩ জুন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফুল চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৫ জুলাই আরিফুল ও তাঁর সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৯ জুলাই তাঁদের দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর