সড়কের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ২১ কোটি টাকার সম্পদ,দুদকের মামলা
প্রকাশিত: ০৯:২৮ এএম, অক্টোবর ২৮, ২০২১
ডেইলি খবর ডেস্ক: সড়ক বিভাগের এক সাধারন উপ-সহকারী প্রকৌশলীরই ২১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। তার আগে-পরের পদে থাকা প্রকৌশলীদের সম্পদ হয়ত হিসাব করাই কঠিন। ওয়ান এলেভেন সরকারের শাসনামলে ঝাকে ঝাকে ধরা পরেছিলো ট্রথকমিশনে। শত অপবাদ পেয়েও তারা দুর্নীতি থেকে পিছ পা হয়নি। প্রতিনিয়তই তাদের দুর্নীতির খবর আসছে। এবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বরিশাল অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো:নজরুল ইসলাম,তার স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।২৭ অক্টোবর বুধবার দুদকের সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক এদীপ বিল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলায় নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও নজরুল ইসলামের ভাই মো:তরিকুল ইসলামকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহারে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে হিসাব খুলে টাকা জমা রাখা এবং বরিশাল সদরে এই প্রকৌশলীর নিজের নামে একটি বাড়ি এবং স্ত্রীর নামে বরিশাল সদরে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ জমির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়,আসামি নজরুল ইসলাম ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বরিশাল শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। ২০২০ সালের ৫ জুলাই পর্যন্ত তিন বছরে এ হিসাবে চার কোটি ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা জমা হয়। এর মধ্যে তিনি চার কোটি ৯৪ লাখ নয় হাজার টাকা উত্তোলনও করেন।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি নজরুল ইসলামের ভাই তরিকুল ইসলামের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বরিশাল শাখায় আরও একটি হিসাব খোলা হয়।এ হিসাবেও ২০২০ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত ছয় কোটি এক লাখ টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া একই ব্যাংকের বরিশাল শাখায় নজরুল ইসলামের এফডিআর হিসাবে জমা করা ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে এজাহারে বলা হয়।
অন্যদিকে তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীনের নামে ২০১৯ সালের ৩০ মে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বরিশাল শাখায় এক বছর মেয়াদি ৭৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায় উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়,এ অর্থ ২০২০ সালের মে মাসে উত্তোলন করা হয়।এছাড়া ওই ব্যাংকে শাহনাজ পারভীনের নামে এফডিআরসহ পাঁচটি হিসাব পাওয়া গেছে।অপরদিকে বরিশালের পূবালী ব্যাংক শাখায় ২০১৮ সালে উপ সহকারী প্রকৌশলী নজরুল আরও একটি হিসাব খোলেন। এতে ১০ লাখ টাকা জমা করে তার ভাইয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করান।পাশাপাশি আইডিএলসি ফাইন্যান্সে নজরুল ইসলামের নামে ছয়টি এফডিআর এবং ২০১৯ সালের ফেব্রয়ারিতে ১৫ বছর মেয়াদি ৮৬ লাখ টাকা ঋণ নেয়ার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে,যা তিনি পরিশোধ করে দেন।এভাবে নজরুল ইসলাম,তার স্ত্রী ও ভাইয়ের ব্যাংক হিসাবে মোট ২১ কোটি এক লাখ টাকা জমা ও উত্তোলনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, এসব অর্থের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪ (২) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।