1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত পুলিশের এডিসি হারুনকান্ড: তৃতীয়বার বাড়ল তদন্তের সময়সীমা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: শেখ হাসিনা ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জোর প্রধানমন্ত্রীর

হিলটন পরিবারের সম্পদ বিত্তান্ত: কে সবচেয়ে ধনী?

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

ডেইলি খবর ডেস্ক: ২০১৯ সালে ব্যারন হিলটনের মৃত্যুর পর তার অধিকাংশ সম্পত্তিই দান করে দেওয়া হয়। সত্যি বলতে, নিজের সম্পত্তির মাত্র তিন শতাংশ তিনি তার ৮ সন্তান, ১৫ নাতি-নাতনি ও তাদের নাতিনাতনিদের আরও ৪ সন্তানের নামে লিখে দিয়ে যান। বিখ্যাত হিলটন হোটেল থেকে শুরু করে ওজি ইনফ্লুয়েন্সার এবং ব্যবসায়ী বনে যাওয়া প্যারিস হিলটন হোক, কিংবা আমেরিকান টিভি শো ‘দ্য রিয়েল হাউজওয়াইভস’ খ্যাত অভিনেত্রী কাইলিই হোক; হিলটন পরিবারের প্রসার-প্রতিপত্তি কিন্তু আপাদমস্তক একটা সাম্রাজ্যের মতোই। এমনকি বর্তমানের অন্যতম সেনসেশন কিম কার্দাশিয়ানও প্যারিস হিলটনের সহযোগী হিসেবেই তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন।অবাক হচ্ছেন কি? কিন্তু গল্প যে এখনো পুরোটাই বাকি! হিলটন পরিবারের সহায়-সম্পত্তির অংকটাও কিন্তু তাদের নিজেদের মতোই বেশ আকর্ষণীয়। ব্যারন হিলটন,প্যারিস এবং নিকির দাদা ছিলেন অবিশ্বাস্যরকম ধনী একজন ব্যক্তি। ২০০৭ সালে তিনি হিলটন হোটেলকে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ব্ল্যাকস্টোন গ্রæপের কাছে বিক্রি করে দেন।
২০১৯ সালে তার মৃত্যুর পর তার অধিকাংশ সম্পত্তিই দান করে দেওয়া হয়। সত্যি বলতে, নিজের সম্পত্তির মাত্র তিন শতাংশ তিনি তার ৮ সন্তান, ১৫ নাতি-নাতনি ও তাদের নাতিনাতনিদের আরও ৪ সন্তানের নামে লিখে দিয়ে যান। আর এই চারজনের মধ্যে আছেন প্যারিস, নিকি এবং বাকিরা।
সম্পত্তির বাকি ৯৭ শতাংশ চলে যায় কনরাড এন হিল ফাউন্ডেশনে। ফলে হিলটন পরিবারের দানকৃত সম্পত্তির পরিমাণ ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন থেকে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।
আপনার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে যে, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দান করে দেওয়ার পরেও হিলটনদের সম্পদের পাহাড় গড়ে ওঠার পেছনে কারন কি? এর উত্তর আছে…
১। রিক হিলটন (৬৫), ক্যাথি হিলটন (৬২) সম্পদের পরিমাণ: ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
প্যারিস হিলটনের বাবা-মা রিক ও ক্যাথি হিলটন ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু। এমনকি পপ কিংবদন্তী মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গেও বন্ধুত্ব ছিল তাদের। রিক ও ক্যাথি, দুজনেই হিলটন সাম্রাজ্যের বিশ্বস্ত পাহারাদার। আর সেটা প্রমান করার মতো ব্যাংক-ব্যালেন্সও তাদের রয়েছে। সেলিব্রেটি নেট ওর্থ সূত্র অনুযায়ী, রিক ও ক্যাথির সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার! বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের যুগ ধরে রাখতে না পারলেও, এই জুটির তা নিয়ে আক্ষেপ নেই। কারণ তাদের আয়ের আরও অসংখ্য উপায় আছে।
ক্যাথি হিলটন ও তার পরিবার। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত
রিক বেভারলি হিলসভিত্তিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হিলটন অ্যান্ড হাইল্যান্ড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। অন্যদিকে সাবেক অভিনেত্রী,ক্যাথি এই মুহূর্তে মানবসেবায় মনোনিবেশ করেছেন।২। প্যারিস হিলটন (৪০) সম্পদের পরিমাণ: ৩০০ মিলিয়ন ডলার ।এবার হিলটন পরিবারের বাকি সদস্যদের দিকে মনোযোগ দেওয়া যাক। শুরুতেই আসছে প্যারিস হিলটনের নাম।আপনি প্যারিসকে ভালবাসুন বা ঘৃণা করুন,একটা কথা আপনাকে মানতেই হবে যে- প্যারিসের সেই ‘বোকা ব্লন্ড’ বা পার্টি গার্ল ইমেজই তার সবকিছু নয়। ২০২১ সালে এসে তার সম্পদের পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ধনী বাবা-মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন তিনিও। তার আয়ের একটা বড় অংশ আসে বিভিন্ন রিটেইল ব্যবসা থেকে। পঞ্চাশটিরও বেশি দোকান আছে তার এবং উনিশটি আলাদা পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করেন প্যারিস। সেসবের বিক্রি থেকে তার আয় ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে সম্পদের অধিকারিণী হতে থাকলেও, প্যারিসের মন থেকে পার্টি গার্ল ভাবটা এখনো উবে যায়নি। এক দশক আগে একজন ডিজে হিসেবে কাজ শুরু করার পর থেকে বেশ মোটা অংকের টাকা আয় করছেন তিনি।প্রতি সেট ডিজে’র জন্য তাকে এক মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়।’কোনোকিছুর জন্যই বিখ্যাত নন’ তকমাকে উলটে দিয়ে হাসিমুখেই নিজের ব্যাংক একাউন্ট ভারি করে চলেছেন প্যারিস।
৩। কাইলি রিচার্ডস (৫২) সম্পদের পরিমাণ: ১০০ মিলিয়ন ডলার।প্যারিসের মতো অতটা বিত্তশালী এখনো না হলেও,১০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তিনিও এই তালিকায় জায়গা পাওয়ার মতো।’দ্য রিয়েল হাইউজওয়াইভস অফ বেভারলি হিলস’ নামক টিভি শো’তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার আয় দ্রæত বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ তিনিই এই শো এর প্রাথমিক পর্যায়ে যোগ দেওয়া শেষ সদস্য। তবে কাইলির স্বামী মরিসিনো উমানস্কিও একজন সফল প্রপার্টি এজেন্ট। স্বামীর সাথে সমন্বিতভাবে তার সম্পদ আছে। মাইকেল জ্যাকসন ও প্রিন্সের মতো তারকাদের কাছেও তিনি সম্পদ বিক্রি করেছেন এর আগে।
৪। নিকি হিলটন রথসচাইল্ড (৩৭) সম্পদের পরিমাণ: ৫০ মিলিয়ন ডলার। প্যারিস হিলটনের বোন নিকি একজন সফল ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল এবং দুই সন্তানের জননী। বোনের মতোই তিনিও কঠোর পরিশ্রম করেই এতদূর এসেছেন। ফ্যাশন থেকে শুরু করে প্রসাধনী, অলংকার ও ব্যাগ নিয়ে কাজ করেছেন তিনি এবং একাই ৫০ মিলিয়নের মালিক হয়েছেন। কিন্তু এখানে আছে অন্য এক টুইস্ট। ধারণা করা হচ্ছে, লন্ডনের ধনাঢ্য ব্যাংকিং পরিবার, রথসচাইল্ড পরিবারে বিয়ে করার ফলে; সেখান থেকে প্রাপ্ত বিশাল সম্পত্তি নিয়ে তিনিই হবেন হিলটন পরিবারের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিত্ব। নিকি হিলটন রথসচাইল্ড ও তার স্বামী জেমস রথসচাইল্ড। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত
এই মুহূর্তে তার স্বামী জেমস রথসচাইল্ডের মোট সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। তাই নিকিকে বিলিয়নিয়ার হওয়ার জন্য খুব তারাহুড়ো না করলেও চলবে!
৫। দ্বিতীয় ব্যারন হিলটন (৩১) সম্পদের পরিমাণ: ৫ মিলিয়ন ডলার। বিখ্যাত বোনদের ছায়ায় থেকে বড় হওয়াটা সহজ ছিলনা ব্যারনের জন্য। কিন্তু এই মুহূর্তে হাতে যা আছে, তা নিয়েই খুশি ৩১ বছর বয়সী দ্বিতীয় ব্যারন নিকোলাস হিলটন।একজন হ্যান্ডসাম পুরুষ হওয়ার সুবাদে মডেলিংটা অবশ্যই করেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি নিজে ‘এন পাসেন্ট’ নামে একটি হরর শর্ট ফিল্ম বানান। ইনস্টাগ্রামে ‘ব্যারন্স বাইটস’ নামে ফুডি একাউন্টে ফুড বøগিংও শুরু করেছেন তিনি।
৬। কিম রিচার্ডস (৫৬) সম্পদের পরিমাণ: ৫০ লাখ ডলার।অন্য দুই বোন, ক্যাথি ও কাইলি টাকার মধ্যে গড়াগড়ি খেলেও; তাদের এই বোন কিম রিচার্ডসের হাতে আছে মাত্র ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। সত্তর ও আশির দশকে একজন সফল অভিনেত্রী ছিলেন কিম। কিন্তু বর্তমানে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জটিলতায় পড়ে তিনি বেশকিছু টাকা খুইয়েছেন।২০১৫ সালে রিচার্ডসকে অনুপ্রবেশ,জনসম্মুখে মাতলামি ও সরকারি অফিসারের সাথে দুর্ব্যাবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর কিছুদিন বাদেই তাকে দোকান থেকে পণ্য চুরির সময় হাতেনাতে ধরা হয় এবং দ্বিতীয়বার জেল খাটেন।
৭।কনরাড হিলটন (২৭)।হিলটন পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ এই সদস্যের সম্পদের পরিমাণ এখনো অজানা। তবে কয়েক বছর ধরেই পুনঃপুনঃ অপরাধের ফলে তিনি বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। অনেকের ধারণা, তিনি এখন স্রেফ বেকার।গত বছর তাকে মাদক নেওয়া ও ২০১৫ সালের গ্রেপ্তারের পর প্যারোলে মুক্তির নিয়ম ভঙ্গ করার দায়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর