1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : Daily Khabor : Daily Khabor
  3. [email protected] : rubel :
  4. [email protected] : shaker :
  5. [email protected] : shamim :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত পুলিশের এডিসি হারুনকান্ড: তৃতীয়বার বাড়ল তদন্তের সময়সীমা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: শেখ হাসিনা ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জোর প্রধানমন্ত্রীর

১৬ দিনে ৮২৩৮ কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০
  • ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

চলতি অর্থবছরের শুরুতে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে সরকার। জুলাই মাসের প্রথম ১৬ দিনেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে প্রায় আট হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি সরকার। উল্টো আগের নেওয়া ঋণের দুই হাজার ৯৫০ কোটি টাকা শোধ করেছে। এতে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন অর্থবছরের শুরুতে সরকারের ব্যয় অনুপাতে আয় কম থাকে। ফলে এ সময়ে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বেশি ঋণ করতে দেখা যায় সরকারকে। সাধারণত ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাত নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ এতে ব্যাংকের ঋণযোগ্য তহবিল সরকারের কাছে আটকা পড়ে। ফলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এ জন্য অর্থনীতিবিদরা বরাবরই সরকারকে ব্যাংক থেকে যতটা সম্ভব কম ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমছে। আবার করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের চাপ রয়েছে। এর মধ্যেও যদি বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলে সরকার ভাগ বসিয়ে দেয় তাহলে সেটা বেসরকারি খাতের জন্য নেতিবাচক। কারণ সরকার ঋণ না নিলে এই টাকা বেসরকারি খাতে যেত।

প্রতিবছরই বড় অঙ্কের ঘাটতি রেখে বাজেট পেশ করে আসছে সরকার। এই ঘাটতি মেটানো হয় দুটি উৎস থেকে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক খাত। বৈদেশিক খাত থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পাওয়া না গেলে অভ্যন্তরীণ উৎসের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয় সরকারকে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে রয়েছে ব্যাংকব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র খাত। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর ব্যাংকের বাইরে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২০ হাজার কোটি টাকা।

বিদায়ি অর্থবছরের শুরুর দিকেও সরকার ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল। জুলাই মাসের প্রথম ১৫ দিনেই ঋণ নিয়েছিল ১৪ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া হয়েছিল ১২ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা।

শুধু বিদায়ি অর্থবছরের শুরুতেই নয়, পুরো অর্থবছরজুড়েই ব্যাংকব্যবস্থা থেকে অস্বাভাবিক ঋণ নিয়েছিল সরকার। বাজেট ঘাটতি মেটাতে গত অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছিল সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা করা হয়।

তবে অর্থবছরের শেষে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়ায় প্রায় ৭২ হাজার ২৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এটি মূল বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৫২ শতাংশ বেশি ছিল। এক অর্থবছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই ব্যাংক থেকে এত বেশি ঋণ নেয়নি সরকার। মূলত রাজস্ব আদায়ে ভাটা ও কড়াকড়ি আরোপে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ায় ব্যয় মেটাতে সরকারকে বাধ্য হয়েই এত বেশি ঋণ করতে হয়েছে। এর আগে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ব্যাংকঋণ নেওয়ার রেকর্ড ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে সরকারের ব্যাংকঋণ ছিল ৩৪ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

এ জাতীয় আরো খবর