বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অপহৃত কর্মীসহ ভারতীয় দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তাকে ফেরত দিল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, জুন ২৩, ২০২০

অপহৃত কর্মীসহ ভারতীয় দূতাবাসের পাঁচ কর্মকর্তাকে ফেরত দিল পাকিস্তান

পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের পাঁচজন কর্মী ফিরে এসেছেন ভারতে। গতকাল সোমবার আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তারা। ওই পাঁচজন দূতাবাস কর্মকর্তার মধ্যে দু'জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোর করে ১০ ঘণ্টা ধরে অজ্ঞাত জায়গায় তাদের আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল সোমবার অমৃতসরে প্রবেশ করেন তারা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ১৫ জুন তাদের অপহরণ করে আইএসআই বা পাক গুপ্তচর সংস্থা। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে দু’জন পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মকর্তাকে বহিষ্কৃত করার দু’দিনের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। ওই দুই ব্যক্তি রাজধানীতে হাই কমিশনের ভিসা বিভাগে কাজ করতেন। শুধু তাই নয়, ভারতের পক্ষ থেকে দুই ব্যক্তির গাড়ির চালকদেরও বহিষ্কার করা হয়। জানা গেছে, পাকিস্তানি ওই দুই কর্মী আবিদ হুসেন ও মুহাম্মদ তাহির স্পাই রিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এদিকে, পাকিস্তানে ভারতের হাই কমিশনের সঙ্গে যুক্ত দুই ভারতীয় কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়ে যান। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, দু’জন ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মী সিআইএসএফ চালক এবং তারা সেই মুহূর্তে ‘অন-ডিউটি’ ছিলেন এবং তারা নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। দ্রুত এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারকে জানায় ভারত। সব তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মীকে অপহরণ করার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের দূতকে ডেকে পাঠায় নয়াদিল্লি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর জানা যায়, ভারতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সাঈদ হায়দার শাহকে ডেকে পাঠানো হয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার জবাব জানতে চাওয়া হয় বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানায়, তারা নাকি বড়সড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। হিট অ্যান্ড রান কেসের অভিযোগ আনা হয়েছিল পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। সে অনুসারে গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই কর্মীকে। এমন দাবি করে পাকিস্তানের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম। তবে পরে জানা যায়, ওই দুই কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, পথ চলতি এক ব্যক্তিকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মেরে পালাতে চেষ্টা করে ওই দুই কর্মকর্তা। তাদের গ্রেপ্তার করে পইকস্তানের পুলিশ। তবে জানা গেছে, পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার আগে রীতি মতো মারধর করা হয়। সূত্র জানায়, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের ওই দুই কর্মকর্তাকে জোর করে বয়ান দিতে বাধ্য করা হয়। দুই ভারতীয় কর্মকর্তা যে গাড়ি দুর্ঘটনায় যুক্ত, সেই বয়ান দিতে বাধ্য হন তারা। ভারতীয় দূতাবাসের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করা ওই দুই কর্মীকে ১৫ থেকে ১৬ জন সশস্ত্র কর্মী সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ধরে নিয়ে যায়। তবে তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়, তা জানা যায়নি। এই সশস্ত্র কর্মীরা ৫-৬টি গাড়ি করে এসেছিল।
Link copied!