মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তথ্য সচিবকে অবসরে

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, অক্টোবর ১৭, ২০২২

অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তথ্য সচিবকে অবসরে

ডেইলি খবর ডেস্ক: অর্থ কেলেঙ্কারিতে চাকরি হারালেন তথ্য সচিব। একটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগ সামনে আসায় চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার একবছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। রোববার (১৬ অক্টোবর) তাকে অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে,‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।’স্বাভাবিকভাবে আগামী বছরের (২০২৩ সাল) ২৫ অক্টোবর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মকবুল হোসেনের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কেন তাকে অবসরে পাঠানো হলো জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, তাকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এটা জেনেছি, কিন্তু কেন অবসর দেওয়া হলো, সেই বিষয়ে আমি অবহিত নই।অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, কারও চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর হলে সরকার যে কাউকে অবসরে পাঠাতে পারে। আর তার চাকরির মেয়াদ কয়েক মাস ছিল।মকবুল হোসেন গত বছরের ৩১ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা। মকবুল হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি মাঠ প্রশাসনে সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
Link copied!