বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী কেন্দ্রে পান উত্তরপত্র

প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, জানুয়ারি ২৪, ২০২২

অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী কেন্দ্রে পান উত্তরপত্র

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীকে উত্তর পাঠানোর তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর দুই দিনের রিমান্ডে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এদিকে গতকাল রবিবার প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অডিটর পদে নিয়োগের এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ডিবি জানিয়েছে স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ার ডিভাইস, মোবাইল এসএমএস, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় প্রশ্নের উত্তর। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ফোন ও প্রযুক্তির সহায়তায় বের করার চেষ্টা চলছে কারা এসব উত্তর পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার ১৬টি মোবাইল ফোনের মধ্যে দুটি থেকেই অন্তত ১৭ জনের কাছে উত্তর পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া একাধিক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া প্রবেশপত্রও ওই মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে। অন্য ফোনগুলোতেও অসংখ্য পরীক্ষার্থীকে উত্তর পাঠানোর তথ্য রয়েছে। তবে সেগুলো এখনো গণনা করা হয়নি। যারা উত্তর পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের খোঁজা হচ্ছে। তিনি বলেন, চক্রটি অনেক বড় মনে হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ফাঁস করছে। সবাইকেই ধরার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০টি অডিটর পদে নিয়োগের জন্য ৭০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও কেন্দ্রে উত্তর পাঠানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রুপা, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) কার্যালয়ের বরখাস্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদসহ নোমান সিদ্দিকী, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান। তাদের থেকে ছয়টি ইয়ার ডিভাইস, ছয়টি মাস্টার কার্ড, ছয়টি মোবাইল সিম হোল্ডার, পাঁচটি ব্যাংকের চেক, সাতটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্ট ফোন, ৬টি ফিচার মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া তিন সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়। আমাদের দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রুপা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। তিনি উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার ভুঁইপুর গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হওয়ার পর তার পরিচিতি প্রকাশ পায়। তার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, উপজেলা শাখার প্রাথমিক কমিটির সদস্য পদে রুপার নাম ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত কমিটিতে তার কোনো সদস্য পদ নেই।
Link copied!