বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘অস্ত্রবাজ’ নিয়াজুলের পদোন্নতি

প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

‘অস্ত্রবাজ’ নিয়াজুলের পদোন্নতি

নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি নিয়াজুল ইসলাম পেয়েছেন রাজনৈতিক পদোন্নতি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগে ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নিয়াজুল। স্থানীয় এমপি শামীম ওসমানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ এই অনুসারীকে ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত করায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের একাংশে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে পদোন্নতি দেওয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। গত শুক্রবার নগরীর খানপুর বার একাডেমি স্কুলে ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পদে নিয়াজুল ইসলাম খান ছাড়া আর কেউ প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। একই ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর আলম। ২০১৮ সালের ১৬ জুন নগরীর ফুটপাতে হকার ইস্যুতে সংঘর্ষের ঘটনায় আলোচিত চরিত্র নিয়াজুল। সেদিন মেয়র আইভীর দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে তাঁর তেড়ে যাওয়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী হয় সংবাদকর্মীদের ক্যামেরায়। সেই ঘটনায় মেয়র আইভীর পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করেন সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা জি এম সাত্তার। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়াজুল ইসলাম খানকে ১ নম্বর আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুরোনো অস্ত্র-গুলিতে নতুন করে উত্তপ্ত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিপুরোনো অস্ত্র-গুলিতে নতুন করে উত্তপ্ত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি তবে অস্ত্র আইনে নিয়াজুলকে অভিযুক্ত করা হয়নি। এই কারণে মেয়র আইভীর পক্ষে বাদী জি এম সাত্তার প্রতিবেদনের ওপর আদালতে নারাজি দেন। অস্ত্র আইনে অভিযুক্ত না করায় মেয়র আইভী একাধিকবার প্রকাশ্যে ও গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রেখেছেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সেই নিয়াজুলের হাতে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রভাবশালী ব্যক্তির ইশারা ছাড়া নিয়াজুল এই পদ পেতে পারেন না। তাঁর এই পদপ্রাপ্তির কারণে মামলা প্রভাবিত হতে পারে।’ আর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিয়াজুল একটা সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজ। আমরা ভাবতেও পারিনি সে এখানে প্রার্থী হবে। তাঁর কোনো কার্যক্রমও ছিল না। হঠাৎ তাঁর পক্ষে এসে একজন নাম প্রস্তাব করল। কিন্তু আর কোনো নামই আসেনি। বাধ্য হয়ে তাঁকেই ঘোষণা করতে হলো। আমরা বুঝলাম যে এখানে কোনো একটা মেকানিজম হয়েছে, যা আমাদের অজান্তেই হয়েছে। এটা দলের জন্য দুঃখজনক।’
Link copied!