বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী

প্রকাশিত: ০১:১৬ পিএম, মে ৮, ২০২০

আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী

আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের (ইংরেজি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ) এই দিনে কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২শে শ্রাবণ (ইংরেজি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ) পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করার আগে, ৮০ বছরের দীর্ঘ জীবনে বাংলা সাহিত্যকে অন্যতর উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ায় প্রধান ভূমিকা পালন করে গেছেন তিনি। বাংলা সাহিত্য তো বটেই, গোটা পৃথিবীর সাহিত্য অঙ্গনকে আলোকিত করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। স্বীকৃতি হিসেবে ১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলী' কাব্যের জন্য প্রথম এশিয়ান হিসেবে পেয়েছেন নোবেল পুরস্কার। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিভূ। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। করোনাভাইরাসের করাল থাবা থেকে মুক্ত হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে বলেছেন, 'নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়।' 'কবিগুরু' ও 'বিশ্বকবি' উপাধীতে খ্যাত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু অগ্রণী কবিই নন, একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। অনেকের বিবেচনায়, তিনিই বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। তার কাব্যগ্রন্থ ৫২টি, নাটক ৩৮টি, উপন্যাস ১৩টি, প্রবন্ধ ও গদ্যসংকলন ৩৬টি । প্রায় ২ হাজার গান লিখেছেন তিনি। তার গানের বাণী বাঙালির আনন্দ-বেদনা, উৎসব-শোক... সকল আয়োজনেই নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও তারই লেখা। জন্মদিনে এই মহামানবকে প্রতি বছর বেশ ঘটা করে স্মরণ করা হলেও এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তাকে অনেকটা ছোট পরিসরে স্মরণ করা হচ্ছে। জনসমাগম নিষিদ্ধ হওয়ায় মূলত ভার্চুয়াল মাধ্যমই হয়ে উঠেছে এবারের রবীন্দ্র জন্মোৎসব পালনের মঞ্চ।
Link copied!